Logo
HEL [tta_listen_btn]

বন্দরে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ

বন্দরে অটোচাপায় আয়েশা আক্তার (৪) নামে এক শিশু শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আটককৃত অটোচালককে ছেড়ে দেয়ার ক্ষোভে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে চালককে গ্রেফতারের দাবিতে কাফন পরানো লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে মিছিল করেছে উত্তেজিত জনতা ও নিহত শিশুর স্বজনরা। এরআগে, মঙ্গলবার দুপুরে বাজুরবাগ পাকা রাস্তা বাতেন মিয়ার বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু মুছাপুর ইউপির পিচকামতাল গ্রামের রাজু মিয়ার মেয়ে।
জানা গেছে, মঙ্গলাবার সন্ধ্যায় নিহত শিশু আয়েশার নামাজে জানাযা শেষে দাফনের আগ মুহূর্তে অটোচালক মাহমুদ মিয়ার শ্বশুর নুরু মিয়ার উচ্চবাচ্য কথাবার্তায় কবরস্থানে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে লাশ দাফন না করেই লাশ নিয়ে লাঙ্গলবন্দ বাজার এলাকায় মিনারবাড়ি-লাঙ্গলবন্দ সড়কে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা ও নিহত শিশুর স্বজনরা। পরে রাতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বুধবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলে রাতে লাশ দাফন করা হয়। বিক্ষদ্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজুরবাগ গ্রামের মো. জালাল মিয়ার ছেলে মাহমুদ সব সময় নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ও বেপরোয়া গতিতে অটো চালায়। বহুবার নিষেধ করা হলেও তার ইচ্ছে মতো অটো চালায়। গ্রামীন রাস্তায় নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে দ্রুত গতিতে চালানোর কারণে শিশু শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। বেপরোয়াভাবে চালানোর কারণে মেধাবী শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে চালক মাহমুদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে অটো চালক মাহমুদ মিয়াকে আটক করে রেখেছিল এলাকাবাসী। পরে আটক চালক মাহমুদের শ্বশুর নুরু মিয়া কৌশলে ছাড়িয়ে আনেন। ঘাতক চালক মাহমুদ জানাজায় উপস্থিত না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে জানাজা শেষে নুরু মিয়ার সঙ্গে কাথা কাটাকাটির বিষয়টি নিয়ে কবরস্থান মাঠে উত্তেনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র ও বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘাতক অটো চালক মাহমুদ বাজুরবাগ গ্রামের মো. জালাল মিয়ার ছেলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com