Logo
HEL [tta_listen_btn]

মসজিদ-মাজারের গ্যারাকলে চানমারির কাজ

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের (লিংক রোড) প্রশস্তকরণে প্রধান প্রতিবন্ধকতা চাষাঢ়া মোড়ের জমির সমস্যা সমাধানের কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও সুফল মিলছে না। চাষাঢ়া অংশের কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়কের ওই অংশে চাঁদমারী মসজিদ ও মাজারের কারণে নির্মাণকাজ আটকে আছে বলে জানিয়েছে সরকারি এ দপ্তরটি। এদিকে, এই অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় সড়কের ওই অংশে প্রতিদিন যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।
ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ দ্রুত, নিরাপদ, সাশ্রয়ী করতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। শুরু থেকেই বিভিন্ন জটিলতায় ধীরগতিতে চলছিল প্রকল্পটি। ২০১৯ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড ৬ লেনে উন্নতীকরণ প্রকল্পের প্রস্তাব পরবর্তী প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা এবং প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
এ প্রকল্পের আওতায় ৮ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করে ৫০ ফুট প্রশস্ত সড়কটি প্রায় ১২৯ ফুট প্রশস্ত করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় ৪৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর আওতায় সড়কের ৩টি পয়েন্টে আন্ডারপাস ও দুটি পয়েন্টে ফুটওভারব্রিজ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এর মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কাজ শেষ না হওয়ায় তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। কাজ শুরু করার ফলে ফের এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর থেকেই লিংক রোডের চাষাঢ়া মোড় এলাকার ভূমির মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দেয়। ফলে ৬ লেন করার জন্য সড়কের অন্যান্য অংশ উচ্ছেদ করা গেলেও ওই অংশটি রয়ে যায়। বিগত বছরগুলোতে সেনাবাহিনীর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ সমাধান না হওয়ায় সওজ কর্তৃপক্ষ চাঁদমারী থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত দুই লেনের কাজ শুরু করে এবং শেষও করে।
এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের মধ্যস্থতায় সওজ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সড়কের জন্য প্রয়োজনীয় জমির সমপরিমাণ জমির বিনিময়ে সেনাবাহিনী সওজকে পূর্বে পাশের জমিটি হস্তান্তর করবে। এর ১১ মাস অতিবাহিত হলেও চাঁদমারী থেকে চাষাঢ়া অংশের কাজ শুরু করতে পারেনি সওজ কর্তৃপক্ষ।
সওজ’র সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্যাহ মজুমদার জানান, লিংক রোড়ের চাষাঢ়া অংশে একটি মসজিদ ও একটি মাজার রয়েছে। মসজিদ ও মাজারের জন্য পাশেই জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখানো সরিয়ে নেয়নি। যার কারণে আমরা এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি।
তিনি বলেন, রাইফেল ক্লাব ও বাকি অংশ সেনাবাহিনী উচ্ছেদ করবে। দু-এক সপ্তাহের মধ্যে মসজিদটি সরিয়ে নেয়া হবে। এরপরই আমরা কাজ শুরু করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com