Logo
HEL [tta_listen_btn]

কে, এম সফিউল্লাহ আর নেই

রূপগঞ্জ সংবাদদাতা
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সেনাপ্রধান ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল কে,এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় সিএসএইচ হাসপাতালে মুত্যুবরণ করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তিনি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ দুপুর সোয়া ১ টায় কে,এম সফিউল্লাহর রূপগঞ্জ থানার নিজ বাড়ির পাশে কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ওনার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
মেজর জেনারেল কে, এম, সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ সনে তদানীন্তন ঢাকা জেলার (বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা) রূপগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সনে পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৫৫ সনে পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমি থেকে গ্রেজুয়েশন করে সেকেন্ড লেফটেনেন্ট পদে নিযুক্ত হন। সেনা বাহিনীতে কমিশন প্রাপ্তির পর ১৯৭০ সন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে, স্টাফে এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৬৮ সনে পাকিস্তান কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ কোয়েটা থেকে পিএসসি লাভ করেন। ‘৭১-এর স্বাধীনতার আন্দোলনকে সমর্থন করে জেনারেল সফিউল্লাহ ২৮ মার্চ ‘৭১ -এ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড ইন কমান্ড থাকাকালে ঐ ব্যাটালিয়ন নিয়ে বিদ্রোহ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে মেজর সফিউল্লাহ তিনি তাঁর নামের প্রথম অক্ষর ‘এস’ দিয়ে এস ফোর্স’ নামে একটি নিয়মিত ব্রিগেড গঠন করেন এবং সে ব্রিগেডের কমান্ডার নিযুক্ত হন। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি জীবন বাজি রেখে কখন কখন সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৬ ডিসেম্বর ‘৭১-এর বিজয় দিবসে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণকালে তিনি তার এই ব্রিগেড নিয়ে ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ও সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে গ্যালেন্টি এওয়ার্ড বীর উত্তম পদকে ভূষিত করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার এপ্রিল ১৯৭২ সনে তাকে প্রথম সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন। এই পদে তিনি আগষ্ট ‘৭৫ পর্যন্ত নিয়ােজিত ছিলেন। । জেনারেল সফিউল্লাহ ১৯৭৫-এর পর থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত এক নাগারে ১৬ বৎসর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭৬-এ মালয়শিয়া ও ১৯৮১-তে কানাডায় হাইকমিশনার, ১৯৮৬-তে সুইডেনে এ্যাম্বাসেডর এবং ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার হিসেবে কর্তব্য পালন করেছেন। তিনি ১৯৯২ সনে সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের এম,টি নির্বাচিত হন। তবে পরবর্তীতে ওনাকে আর নমিনেশন দেয়নি আওয়ামীলীগ। জেনারেল সফিউল্লাহ এক ছেলে এবং তিন মেয়ের পিতা। তার মৃত্যুতে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিব বলেন, মেজর জেনারেল কে, এম, সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) একজন সৎ ও পরিছন্ন রাজনীতিবীদ ছিলেন। ওনার মৃত্যু তে রূপগঞ্জবাসী ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারালো। ওনার শুন্যস্খান পূরণ হবার নয়। আমরা ওনার আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com