দেশের আলো রিপোর্ট
ওরা নির্লজ্জের মত এখনও স্টেডিয়াম পাড়ায় ঘুরফুর করে। বিগত এক যুগেরও বেশি ওরা সন্ত্রাসী শামিম ওসমানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বহু অপকর্ম করেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সন্ত্রাসী শামিম ওসমানের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে গুলি ছোড়ে। শহরের চাঞ্চল্যকর মিঠু হত্যার চার্জশিটভুক্ত আসামী ইসদাইরের ফিরোজ মাহমুদ সামা, ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি গলাচিপার রবিউল হোসেন, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি খানপুরের জসিম উদ্দিন, চাঞ্চল্যকর মিঠু হত্যার চার্জশিটভুক্ত আসামী গাবতলীর রেজাউল করিম লিটন, সস্তাপুরের মোজাম্মেল হক তালুকদারের পুত্র মেহবুবুল হক তালুকদার টগর যিনি জেলখানায় খাদ্য সাপ্লায়ার শামীম বাহিনীর ঠিকাদার হলেও তার মূল ব্যবসা ছিলো জেলখানায় মাদক বিক্রি। এদের সাথে যোগ হয়েছে শামীম ওসমানের লেসপেন্সার নব্য বিপ্লবি শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জাকারিয়া ইমতিয়াজ, জুুয়েল হোসেন মনা, সোহেল হোসেন পাপ্পু ও আলমগীর কবির হিরু, সোনারগাঁয়ে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে মিথ্যা প্রপাগান্ডায় আসামী করা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আদোলনের আসামী নিয়াজ আহমেদ। কিছুদিন আগে তাকে পুলিশ ধরলেও প্রায় ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে ছাড়া পেয়ে যাওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হলেও তার কোন বিচার নেই। সম্প্রতি তথাকথিত মাষ্টার্র্স ক্রিকেটের ফাইনাল খেলায় স্টোডিয়ামে নিয়াজ আহমেদকে দেখা গেছে। ফাইনালে অতিথি না হয়েও অতিরিক্ত মেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বি গোপনে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের দোসরসের সাথে স্টেডিয়ামের কক্ষে গোপনে বৈঠক করেছেন। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় শহরে সমালোচনার ঝড় বইছে। এরা সবাই ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের উচ্ছিষ্টভোগী। এই দুষ্টুকিটেরা নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জেলার খেলাধুলার অঙ্গণকে কলুষিত করে চলেছে। এদের লক্ষ্য হচ্ছে শামিম ওসমানের অবৈধ রাজত্ব কুক্ষিগত করে রাখা। যার প্রমাণ কিছুদিন আগে শহরে তারা পোষ্টার টাঙ্গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় ওরা শহরে যেমন প্রকাশ্য তেমনি স্টেডিয়াম পাড়ায়ও বিরাজমান। পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতায় ওরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদের ি
বিন্দুমাত্র বিচার নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সারা বাংলাদেশের জেলা ক্রীড়া সংস্থার মত নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থাও ভেঙ্গে দেয়। এরপর প্রায় ছয়মাস চলছে কোন এডহক কমিটিও না হওয়ার খেলাধুলা বন্ধ হয়ে আছে। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ের খেলাধুলা সংঘটিত করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে ফেলা ক্রীড়া সংস্থা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সম্প্রতি বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলায় জেলা অনুর্ধ-১৪ দলে ইসদাইরের সুমনের ছেলেকে অবৈধভাবে শরিয়তপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দলে খেলার মত তার বিন্দুমাত্র যোগ্যতা ছিল না। দলের কোচ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বন্দরের সেচ্ছাসেবক লীগের সাফয়াত শাওনকে। বিভিন্ন অভিভাবকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ায় পর ক্রীড়া সংস্থার অফিস সহকারী আঃ করিমকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান এ বিষয়ে তাকে খেলার ক্রিকেট কোচ জিয়াউল হক কিছুই জানায়নি। পরে স্টেডিয়াম পাড়ায় গেলে জানা যায় যে, শাহরিয়ার বিদ্যুৎ, জাকারিয়া ইমতিয়াজ ও মশিউর সোহেলরা জোর করে ঐ অপকর্মটি করেছে। বিধিবদ্ধ কোন সংগঠন না থাকায় নিয়মিত ক্রিকেট লীগ শুরু করা যাচ্ছে না। এই সুযোগে বিসিবি প্রায় বিনা টাকায় তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের বেশ কিছু খেলা এখানে সম্পন্ন করেছে। বিসিবি থেকে বাহবা নিয়েছে আরেক ভুমিদস্যু বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ। যিনি জেলা ক্রীয়া সংস্থার প্রায় সাড়ে আট শতাংশ জায়গা ভূয়া এওয়াজ বদলের নামে মালিকানা বেচে দিয়েছেন আরেক নব্য ভুইফোঁড় হাজী সোহাগের কাছে। স্টেডিয়ামের জায়গা অবৈধভাবে বেচে দেওয়ায় সাথে সরাসরি জড়িত নীট কনসার্ণের জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ও এস এম রানা। শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুর বন্ধু জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা এখন ভোল পাল্টে ক্রীড়াপ্রেমী হওয়ার অভিনয় শুরু করেছে। যারা আগামী দিনের খেলোয়াড় হওয়ার জন্য মাঠে যায় তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। অথচ বুড়ো দামড়ারা মাষ্টার্র্স ক্রিকেট খেলার নামে যা করেছে তাতে মুগ্ধ হয়েছে অনেক অভিভাবক। জীবনে কোনদিন ক্রিকেট খেলেনি সেও মাষ্টার্স ক্রিকেটার। ৭৫ হাজার টাকা এন্ট্রি ফি নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করার পর নীট কনসার্নের জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা তাতে টাইটেল স্পন্সর হয়ে দেখাতে চাইছে যে সে খেলাধুলাকে ভালবাসে। শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আজমেরি ওসমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল নীট কনসার্ণের জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লাদের ফ্যাক্টরিতে। আজমেরি ওসমান সেখানে রাখা এক কন্টেইনারে ছিল প্রায় ৩ দিন। জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বি ২৬ জানুয়ারী তার অফিসে বসে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী দোসরদের ডেকে নিয়ে পুনরায় বৈঠক করে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তিনি এমন সব ব্যক্তিদের নিয়ে এখন ক্রিকেট উপকমিটি গঠনের পায়তারা করছেন বলে জানা যায়। অথচ যাদের সাথে তিনি কথা বলছেন তারা ক্রীড়া সংস্থার অধিভুক্ত কোন ক্লাবের সাথেই যুক্ত নন। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাকিব আল রাব্বি যদি ক্লাব বহির্ভুত ব্যক্তিদের নিয়ে ক্রিকেট উপ কমিটি গঠনের প্রয়াস চালান তবে এর জন্য তাকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। সাবেক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক ছিলেন আরেক কাঠি সরেস। নধ্য বিপ্লবি মাসুদুুজ্জামানকে হিরো বানিয়ে কয়েক মাস আগে মাঠে নামিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছেন তিনি। আওয়ামী ঘেষা প্রশাসনের এই সমস্ত লোকজন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পরিকল্পিতভাবে এই অপকর্মটি সংঘটিত করে গেছেন বলে অনেকের অভিযোগ। তারা জেনে বুঝেই এ কাজগুলো করে গেছেন। ফলে ঐসব সন্ত্রাসীরা ভয় না পেয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে যাওয়ার জন্য কাউন্সিলর হবার যোগ্যতা শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জাকারিয়া ইমতিয়াজ, জুয়েল হোসেন মনা, সোহেল হোসেন পাপ্পু, মশিউর রহমান সোহেলদের নেই। অথচ তাদের ভাবখানা এমন যে ক্রীড়া সংস্থায় তারা সেক্রেটারী সহ অন্যানা পদে আসীন হয়ে গেছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থায় কোন কমিটি না থাকার পরেও তারা দরদী হয়ে উঠেছে ক্রিকেট লীগ করার জন্য। কিন্তু তারা নিজেরাই জানেনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম কি? কি কি খেলা এখনও বাকি। তাছাড়া ক্লাব প্রতিনিধি ব্যাতিরেকে কোন কমিটি গঠন হলেও ক্লাবগুলি যে খেলতে চাইবে না সে বিষয়ও তারা অজ্ঞ। গায়ে মানে না আপনি মোড়ল সাজা ঐসব ধুরন্ধরদের কাছ থেকে নিষ্কৃতি চায় ক্রীড়াঙ্গণ। বিশেষ করে আওয়ামী ঘেষা প্রশাসনের সুবিধাবাদী কর্মকর্তাদের ছলচাতুরির অবসান চান ভুক্তভোগীরা। জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ত্বড়িত গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আশা করে জেলার ক্রীড়া প্রেমিগণ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।