নারায়ণগঞ্জে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ২১ পরিবারকে ৪২ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ পরিবারের স্বজনদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “আমরা জানি, আমাদের বীর সন্তানেরা নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যে ভূমিকা রেখেছে তা অবিস্মরণীয়। আমরা যে আয়োজন করি, তা অতি নগন্য। যে মা তার সন্তান হারিয়েছে, যে ভাই তার বোন হারিয়েছে, তাদের মন জয় করার মতো কোনো আয়োজন আমাদের পক্ষে সম্ভব না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি শহীদরা যে লক্ষ্য নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন, তারা যে দেশ গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করেছিলেন—আমরা যদি সেই দেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলেই তাদের ত্যাগ সার্থক হবে। আমরা আপনাদের সবাইকে নিয়ে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই। শহীদ পরিবারের সদস্যরা আজ যেসব যৌক্তিক দাবি তুলেছেন, সেগুলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।”
জেলা প্রশাসক শহীদ পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় রক্ত দিয়েছেন, অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন—তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।”
জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— উপপরিচালক (উপসচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ ড. মো. মনিরুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহিম হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক নিরব রায়হান।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।