বন্দর সংবাদদাতা
বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ‘কৃষকদের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে, যাতে তারা উৎপাদনে আগ্রহী থাকে। কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষাবাদ করেন। তারা যদি তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পান তবে যাবে কোথায়! তিনি বলেন, এবার বাম্পার বোরোধান উৎপাদন বেড়েছে, তাই চালের দাম সহনশীল মাত্রায় আসছে। টিসিবির অনেক ভুয়া কার্ড বাতিল করে নতুনভাবে স্মার্ট কার্ড চালু করা হয়েছে। এতে টিসিবি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে বন্দরে নবনির্মাণাধীন খাদ্য গুদাম (সাইলো) পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। গম প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেকেই এখন এক বেলা রুটি খান। দেশে বছরে গমের চাহিদা ৭০ লাখ টনের বেশি হলেও উৎপাদন মাত্র ১০ লাখ টন। বাকি ৬০ লাখ টন গম আমদানি করতে হয়, যার বেশিরভাগই বেসরকারিভাবে হয়। সরকারি আমদানিকৃত গমের একটি অংশ ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল)-এ বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং বাকি অংশ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কারাগারসহ সরকারি সংস্থাগুলোতে সরবরাহ করা হয় বলে জানান উপদেষ্টা। চাল ও আটার বাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ কৃষকদের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে, যাতে তারা উৎপাদনে আগ্রহী থাকে। চালের দাম ক্রমান্বয়ে কমলে আটার দামও সহনীয় পর্যায়ে আসবে।”
নির্মাণাধীন সাইলো এবং নতুন গুদামের কাজের অগ্ৰগতি পরিদর্শনকালে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামমিঞা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার,বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, বন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম সিএসডির ব্যবস্থাপক জনাব মুশফিকুর রহমান, সাইলো এর প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান( উপসচিব ), এবং প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মোঃ আমিনুল ইসলামসহ প্রজেক্ট ও অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।