দেশের আলো রিপোর্ট
ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জাকির হোসেন ওরফে ‘ঘি জাকির’-এর কুকীর্তির কোনো শেষ নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় যাত্রা শুরু করলেও, বর্তমানে বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতার সরাসরি আশীর্বাদে ‘ঘি জাকির’ একে একে সব সীমা অতিক্রম করে চলেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, জাকির হোসেন পুরো ইউনিয়নে এক আতঙ্কের নাম। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে জনরায় উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রতিপক্ষকে দমন করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বিগত আমলে যা বর্তমানেও অব্যাহত আছে। এতে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এসব অপকর্মের পিছনে সরাসরি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির দুই তিন জন নেতার প্রত্যক্ষ সহায়তা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করলে প্রমাণ মিলবে—জাকির হোসেন একা নন, একটি গোটা সিন্ডিকেট তাঁকে রক্ষা করছে। এই সিন্ডিকেট শুধু রাজনৈতিক নয়, প্রশাসনিক পর্যায়েও প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, ভিজিডি-ভিজিএফের চাল বিক্রি, রাস্তার কাজের নামে লুটপাট এসব নানা অনৈতিক কাজ চলছে প্রকাশ্যে। এলাকাবাসী বারবার অভিযোগ করার পরেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং যাঁরা মুখ খুলেছেন তাঁদেরকেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর প্রশ্ন, একজন দুর্নীতিবাজ, অত্যাচারী ব্যক্তি কীভাবে বছরের পর বছর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে? কেন প্রশাসন নিরব? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপির ছাতার নিচে থাকা একাধিক নেতা জাকির হোসেনকে রক্ষা করার নেপথ্য কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ডেভিল জাকির বিএনপির ওই অর্থলিপ্সু নেতাদের ‘অনুগত দুধেল গাভী’। ‘ঘি জাকির’ প্রশ্নে আলীরটেকবাসী ঐক্যবদ্ধ। তাঁরা অবিলম্বে জাকির হোসেনের অবৈধ কর্মকাণ্ড তদন্ত করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন। একইসঙ্গে যারা তাকে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, সেই বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধেও দলীয় আইনি পদক্ষেপ দাবি করছেন। আলীরটেকের মানুষ আর মুখ বুজে অন্যায় সহ্য করবে না। এবার তারা হিসাব চাইছে দুর্নীতির, ষড়যন্ত্রের, রাজনৈতিক দালালি ও নির্যাতনের।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।