সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদদাতা
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, ‘আমার দল যদি নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচন এলাকার মধ্যে যেকোনো একটিতে আমাকে ব্যবহার করে তাহলে আমি প্রস্তুত। যদি একটাও আমাকে না দেওয়া হয় তাহলেও কষ্ট নেই, আমি নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করবো।’
তিনি বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জের সব থেকে সংকটময় সময়ে জেলা বিএনপির সভাপতি দায়িত্বে ছিলাম। সারা নারায়ণগঞ্জকে একত্রে রেখেছি। তখন সকল নেতাকর্মীর সাথে মতবিনিময় করে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। তাই সকলে আমাকে পছন্দ করে।
তাই আমাকে নিয়ে কোন জায়গায় তর্ক বিতর্ক করার দরকার নেই। আমি একমাত্র হাজির নাজির আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং তার উপর নির্ভরশীল। আমি মনে করি না কেউ আমার পক্ষ হয়ে উপকার করবে বা বিপক্ষ হয়ে ক্ষতি করবে।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এ বক্তব্যে এ কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ বিএনপির জন্য কর্মক্ষেত্রে। যেখানে চান সেখানে থেকেই বিএনপি’র জন্য কাজ করতে পারেন। কিন্তু এদের মধ্যে কিছু হীনমন্য ব্যক্তি আছেন। তার একটি নির্দিষ্ট থানা বা এলাকাতে নিজের মনে করেন। সেখানে অন্য কোন নেতাকে আসতে দেন না। এত ক্ষুদ্র মনের লোকজন দিয়ে তারা চায় জাতীয় সংসদে বসাতে। সংসদে বসতে বড় মন লাগে। এখানে এমন অনেকে আছেন তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য। আমিও তাদেরই একজন। নারায়ণগঞ্জে এমন কোন জায়গা আছে যেখানে আমি যেতে পারব না? ফতুল্লা বিএনপি জনসভা সেদিন দুই জায়গায় দুইটা হয়েছিল। আমরা সেখানে রাগ করিনি উল্টো আরো খুশি হয়েছি। কারণ আপনারা সেখানে তো বিএনপির জন্যই কথা বলবেন। এটা একটা সুন্দর রেওয়াজ হলো। আপনারা যাবেন, আমরাও যাবো এটা একটি এক ও অভিন্ন নারায়ণগঞ্জ। এখানে থানা দিয়ে বিভক্ত করেন কেন?
গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, এই নারায়ণগঞ্জ চার আসনে বরিশাল, নোয়াখালী কুমিল্লার লোক নেতৃত্ব দেয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্ব দিলে সেটা সহ্য করতে পারেন না। এটা হীনমন্যতা ও ছোটমন। আমরা বড় মনের, নমিনেশন চাওয়া বরিশাল নোয়াখালী কুমিল্লার লোকদের আমরা স্বাগত জানাই। কারণ যত বেশি প্রার্থী হবে তত প্রতিযোগিতা হবে এবং ততই কর্মক্ষমতা বেড়ে যাবে। একা দৌড় দিলে ফাস্ট হলে, কিন্তু সেটা প্রতিযোগিতা হয় না। ভয় পাওয়ার কিছু নাই, যত প্রতিযোগিতা বাড়বে তত আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়বে। আপনি আমি অনেক কিছুই চাইতে পারি কিন্তু দেয়ার মালিক আল্লাহ নিজেই। আপনি আমি চাইলেই হবে না।
নারায়ণগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকা একসময় সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ এক হয়ে গেল। আমাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করলো। সারা সোনারগায়ে আমাকে নিয়ে পরিভ্রমণ ও গণসংযোগ করল। এর মধ্যে থেকে তাদের সাথে আমার একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমি কর্মীদের সম্মান ও মূল্যায়ন করি, তাই সেই সোনারগাঁয়ের মানুষ আজও আমাকে ভালবাসে। আমি হজ্জে যাওয়ার পর জানতে পেরেছি, সোনারগাঁর কর্মীরা বিভিন্ন জাগায় ফেস্টুন টানিয়েছে ‘নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনে প্রার্থী হিসেবে গিয়াস উদ্দিন কে দেখতে চাই’। আমি তাদের এই ভালোবাসা ও সম্মানকে মূল্যায়ন করি।
সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, আমি জানতে পেরেছি সোনারগাঁয় আমাকে নিয়ে কিছু কথা হচ্ছে। একজন কর্মী আমাকে বলছে, আপনাকে নিয়ে আমরা যারা কাজ করি তাদের অনেক কথা শুনতে পাচ্ছি। আমি প্রশ্ন করেছিলাম এটা কি অধ্যাপক রেজাউল করিম, খন্দকার আবু জাফর, আপেল সাহেব কিংবা কোন শিক্ষিত বা ভদ্রলোক বলেছে ?
সেই কর্মী উত্তর দিলো তারা বলেনি। আমি তখন তাদের কথা কানে নিতে না করেছি। যদি তারা বলতো তাহলে তাদের সাথে কথা বলে দেখতাম। যদি কেউ বলে থাকে তাহলে তো আমার বলার কিছু নেই। আমাকে নিয়ে যে যত রকমের উস্কানিমূলক কথা বলুক তা আপনারা কোন উত্তর দিবেন না।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।