বন্দর সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ জেলার এককালের মূর্তিমান আতংক, মেধাবী শিক্ষার্থী ত্বকীসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি, সাবেক সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের একমাত্র তনয়, আজমেরী ওসমানের হোন্ডা বাহিনীর প্রধান, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও মাদক সেবনকারী রবিউল আউয়াল এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের শেল্টারে এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
অথচ গত আওয়ামী লীগের অপশাসনামলে ১৭ বছর আজমেরী ওসমান ও তার মা পারভীন ওসমানের নাম ব্যবহার করে বন্দর এলাকার শাসনেরবাগ, বারপাড়া, মুছাপুর সহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নানান ভাবে হয়রানি করে আসছিলো। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও আজমেরী ওসমান ঘোষিত যে কোন কর্মসূচী অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে সফল করে তুলতো।
২০২৪ সালের জুলাই -আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের আন্দোলন দমাতে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে চাষাঢ়া, শিবু মার্কেট, সাইনবোর্ড, ২নং রেলগেট, চিটাগাং রোড এলাকায় দেশী- বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছিল।
অথচ আওয়ামী লীগের ডেবিল এবং আজমেরী ওসমানের নানান অপকর্মের হোতা রবিউল আউয়াল বৈষম্য বিরোধী মামলার আসামি হতে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
এজন্য স্থানীয় কতিপয় বিএনপির নেতাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সচেতন এলাকাবাসী। বিএনপির ঐ সকল পাতি নেতাদের আশ্রয়- প্রশ্রয়ে রবিউল আউয়াল নিজেকে বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত করতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে তার পিতা ভূমিদস্যু বলে খ্যাত আলম মিয়ার সহযোগিতায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের শাসনেরবাগ গ্রামের চিহ্নিত ভূমিদস্যু আলম মিয়া ওরফে কানা আলমের পুত্র ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী রবিউল আউয়াল এমন কোন অপকর্মমুলক কাজ নেই করেনি।
৫ আগস্ট আজমেরী ওসমানসহ ওসমান পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহযোগী রবিউল আউয়াল এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও এখনো পর্যন্ত নারায়নগঞ্জের কোন থানায় আওয়ামী লীগ ডেবিল রবিউল আউয়ালের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা হত্যা মামলা না হওয়ায় নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মীসহ ভূক্তভোগী মহল হতাশা ব্যক্ত করেন।
বন্দরবাসী রবিউল আউয়ালকে পারভীন ওসমানের আরেক পোলা হিসেবে জানতো। শহরে আজমেরী ওসমান ও বন্দরে রবিউল আউয়াল আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে নানান অপকর্ম করে বেড়াতো।
অবিলম্বে আজমেরী ওসমানের হোন্ডা বাহিনীর অন্যতম সহযোদ্ধা রবিউল আউয়ালের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জুলাই-আগস্টের যোদ্ধাসহ সচেতন এলাকাবাসী।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।