বিশেষ সংবাদদাতা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর-গজারিয়া) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে জেলাজুড়ে জমে উঠেছে তুমুল আলোচনা। মাঠপর্যায়ে মূল প্রতিযোগিতায় রয়েছেন দুই হেভিওয়েট নেতা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মহিউদ্দিন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন বাছাইয়ে প্রাধান্য পাবে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি, আন্দোলনে সক্রিয়তা, সাংগঠনিক অবস্থান এবং ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা। স্থানীয় পর্যায়ে দুই প্রার্থীই দীর্ঘদিন ধরে দলের পক্ষে সক্রিয় থাকায় প্রতিযোগিতা এখন সমানতালে চলছে। শেষ পর্যন্ত এই দুইজনের মধ্য থেকেই একজনের হাতে উঠবে কাঙ্ক্ষিত ধানের শীষ প্রতীক।
বৈঠকের পর থেকে আসনটির রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ফেসবুক, ব্যানার ও পোস্টারে প্রচারণা শুরু করেছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীদের মাঠপর্যায়ের অবস্থান, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার পরিসংখ্যান যাচাই-বাছাই করছেন। দলীয় সূত্রের ভাষ্য, যার সাংগঠনিক ভূমিকা, আন্দোলনে সক্রিয়তা ও জনসমর্থন সবচেয়ে দৃশ্যমান, তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে শেষ মুহূর্তে কৌশলগত কারণে আসন বিন্যাসে পরিবর্তনের ইঙ্গিতও মিলেছে।
গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৮টায় গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুন্সীগঞ্জের তিনটি আসনের প্রত্যাশীরা অংশ নেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় ৪০ মিনিট বক্তব্য রাখলেও প্রত্যাশীদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সব মিলিয়ে, মুন্সীগঞ্জের তিন সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। কে কোথায় ধানের শীষ নিয়ে মাঠে নামবেন এ প্রশ্নই এখন জেলার রাজনীতির সবচেয়ে উত্তপ্ত আলোচ্য।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।