নিজস্ব সংবাদদাতা
আড়াইহাজার উপজেলা সহকারি কামিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে কর্মরত উমেদার (দালাল) ইয়াকুবের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় আবেদন বা মিস কেস করতে গেলে তাকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী মতিন মিয়া জানান, “আমি মিস কেস করার জন্য উমেদার ইয়াকুবের কাছে গেলে তিনি, ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি দুই হাজার টাকা দিতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি পাবেন, ৩ হাজার টাকা কষ্ট হয়?’ টাকার অভাবে আমি পরে মিস কেস করতে পারিনি।”
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী মতিন মিয়া অফিসে গিয়ে অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, একইভাবে অনেকেই নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, মিস কেস লিখতে তিন হাজার টাকা, বিভিন্ন আবেদন লিখতে পাঁচশ থেকে ১৫শ টাকা এবং কোনো ভুল ত্রুটির সংশোধনী আবেদন লিখাতে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় সংশ্লিষ্ট উমেদার ইয়াকুব কে।
অভিযোগকারীরা জানান, এসব অনিয়মের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তারা দাবি করেন, “আমরা কথা বলেছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
উমেদার ইয়াকুবের সঙ্গে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সবকিছু অস্বীকার করে তিনি বলেন, “এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।” ওমেদা (দালাল) চক্রে ভরে গেছে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস, মামুন রনি এরকম আরো কয়েকজন যাদের নাম সংগ্রহ করা যায়নি প্রায় ৭-৮ জন মিলে একটি সিন্ডিকেট করেছে সাধারণ জনগণ আসলেই তাদেরকে ঘিরে ধরে এবং কাজ করে দেওয়ার নাম করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগীরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।