এনামুলহক রাঙ্গা( বগুড়া সংবাদদাতা): অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর তৈরি কাজে হাত দিয়েছেন বগুড়ার যন্ত্র বিজ্ঞানী আমির হোসেন ,যন্ত্রবিজ্ঞানী আমির এবার আবিস্কার করলেন করোনায় আক্রান্ত রোগী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার যন্ত্রচালিত অটো মেশিন পোশাক বহুবিধ যন্ত্রের কারিগর বগুড়ার যন্ত্র বিজ্ঞানী আমির হোসেন এবার তৈরি করলেন কভিড-১৯, নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত আইসিইউ এর আদলে যন্ত্রচালিত অটো মেশিন পোশাক। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করাএই অটো মেশিন ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর জন্য নিরাপদে চিকিৎসা দিতে পারবেন ডাক্তার ও নার্স। এ মেশিন ব্যবহার করে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দেয়া হলে চিকিৎসক কিংবা নার্সেদের করোনায় আক্রান্তের সুযোগ থাকবে না, সর্বদা থাকবেন তারা সম্পূর্ন নিরাপত্তার মধ্যে। নির্ভয়ে তারা করোনায় আক্রান্ত রোগীর সামনে কাজ করতে পারবেন। বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি এই পোশাকের ভিতর থেকেই যন্ত্রের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন চিকিৎসক কিংবা নার্সর যা স্পিকারের মাধ্যমে বাহিরে সবাই শুনতে পারবেন। যন্ত্র বিজ্ঞানী আমির জানান, এ যন্ত্রের মধ্যে আপনা আপনি অক্সিজেন তৈরি হবে এবং তা থেকে গোটা পোশাকে ছড়িয়ে পড়বে যাতে পোশাকের ভিতরের মানুষ সহজেই নি:শ্বাস নিতে পারে। এই মেশিনটি সম্পূর্ণ আইসিটিইউ আদলেই তৈরি করা হয়েছে। করনা ভাইরাস ছাড়াও জন্ডিস, যক্ষা, ডেঙ্গু জ্বরসহ সকল ছোয়াচে আক্রান্ত রোগীকে এই যন্ত্রটির মধ্যে ঢুকিয়ে ছোয়াচে রোধ করে নিরাপত্তার সহিত চিকিৎসা দেয়া যাবে। এই মেশিন নিজে নিজেই অক্সিজেন তৈরী করবে যা থেকে রোগী স্বাস্থসস্মতভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করবে। যন্ত্র বিজ্ঞানী আমির হোসেন এর তৈরি যন্ত্রচলিত পোশাক যেমন নিরাপত্তায় ডাক্তার, নার্স চিকিৎসা করতে পারবে তেমনি এই যন্ত্রটি আইসিইউ আদলে করনা ভাইরাস জনিত রোগীকে যন্ত্রের ভিতরে ঢুকিয়ে নিরাপদে রাখা যাবে। আবার আটোমেটিক ভাবে চিকিৎসার সুবিধার্থে বাহির করা যাবে। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে তার দুটি প্রযুক্তির যন্ত্রটির প্রতিটি হাসপাতাল, ক্লিনিকে সংযোগ করিলে এতে করে চিকিৎসার মান আরোও উন্নত ও সহজ হবে। দীর্ঘদিন এই পোশাক শরীরে রাখা যাবে। স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি হবে না। এই পোশাক জিবাণুমুক্তকরণ যন্ত্র তৈরি কাজেও তিনি হাত দিয়েছেন।সারাদিনে চলাফেরার কারণে পোশাকে জিবাণু লেগে থাকলে পোশাকের গায়ে লেগে থাকা জিবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত হয় নাই। তাই এমন যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে যাতে মেশিনে মধ্যে ৩০ সেকেন্ড ঢুকে আবার বেরিয়ে আসলে সম্পূর্ণ জিবাণুমুক্ত হয়ে যাবে খুব সহজেই এই যন্ত্রের মাধ্যমে। এই যন্ত্রটি হাসপাতাল, ব্যাংক, বিমা, সেনাবাহিনীদপ্তর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংযোগ করে শতভাগ জিবাণুমুক্ত নিরাপত্তায় আনা যাবে মানুষ জাতিকে। এরপর অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটর যন্ত্র তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন যন্ত্র বিজ্ঞানী আমির। উন্নত প্রযুক্তির জিনিসপত্র দিয়ে কাজ শুরু করে প্রায় ৪০ ভাগ এগিয়েছেন। এ জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা পেলে এই কাজগুলো সহজভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন তিনি। তিনি জানান, তিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেলে জীবানুমুক্তকরণ এই যন্ত্র আবিস্কার করা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।