নিজস্ব সংবাদদাতা:
সিটি মেয়র আইভী হারিয়ে যাবেন। এমন আশংকা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এক সময়ের আলোচিত নেতা কামাল মৃধা। তিনি বলেছেন, যদিও তিনি এখন রাজনীতি করেন না, তবুও এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। তিনি আরও বলেছেন, যারাই আইভরি পক্ষে ইতিপূর্বে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারাই হারিয়ে গেছেন। আসন্ন নির্বাচনে আইভীর পক্ষ নেয়ার মতো সেনাপতির দায়িত্ব পালন করার কেউ নেই। তিনি নিজেই (আইভী) নিজের নির্বাচনে নেতৃত্ব দেবেন।
পাঠকের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো…
“ক্যারিশমেটিক বুদ্ধিমত্তার কারণে মেয়র আইভী এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষ অবস্থান করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ তার পাশে অবস্থান নিয়েছে। জনসমর্থন আকাশচুম্বী। ইতিমধ্যে তিনি নিজেকে পুনরায় মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও অনেকটাই সিদ্ধান্ত নিয়েরেখেছে। আমরা তার এই ব্যাপক সাফল্য অভিভূত। মোটামুটি রাজনীতি, সিটি কর্পোরেশন, কর্মী বাহিনী, আর্থিক স্বচ্ছলতা, নেতৃত্ব সবকিছুই এখন তার নখদর্পণে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তিনি নিজেই তার নির্বাচনের নেতৃত্ব দেবেন। নিজেই নিজের নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এটা হওয়াই স্বাভাবিক, কারণ অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যে তার প্রচুর। কিন্তু আমার কিছু ভিন্ন পর্যবেক্ষণ আছে এটা একান্তই ব্যক্তিগত, সম্ভবত এটাই তার শেষ মেয়র নির্বাচন কারণ তার নির্বাচনে ইতিপূর্বে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সবাই একরকম রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছেন, ধারণা করছি মেয়র আইভীর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হবে না। যেমন প্রথম নির্বাচনের সেনাপতি মামা মনোয়ার হোসেন মনা ভাই। দ্বিতীয় নির্বাচনের সেনাপতি এসএম আকরাম এবং সর্বশেষ বা তৃতীয় নির্বাচনের সেনাপতি এ কে এম আবু সুফিয়ান (যদিও জেলা আওয়ামী লীগের একটি পদ নিয়ে আছেন)। কামাল মৃধার স্ট্যাটাসের পরে বেশ কিছু কমেন্টস (মন্তব্য) আসতে থাকে। যেখানে প্রবীন এ নেতা অনেক গুলোর উত্তর দিয়েছেন। এক কমেন্টে বর্ষীয়ান নেতা কামাল মৃধা বলেন, আমি এখনো চুনকা পাগল। এখন একটুতো বদলাবেই। কারণ এখনতো আর রাজনীতি করি না। যেটা ভালো মনে হয় সেটা বলি। শেষ সময়ের কথা গুলো সত্যি হয়ে থাকে। আমি এই কারণে বলেছি যে এটা তার শেষ নির্বাচন, কারণ যারাই তার নির্বাচন পরিচালনার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তারাই রাজনীতির থেকে হারিয়ে গেছেন। এবার যেহেতু নিজেরটা নিজেই করবেন সে বিবেচনায় সেও হারিয়ে যাবেন। এটা ঠিক হতে পারে অথবা না-ও হতে পারে। এটা আমার অনুমান। তাছাড়া আইভী রাজনীতিবিদ হিসেবে মেয়র হয়নি। সে মেয়র হয়েছে আলি আহম্মদ চুনকা সাহেবের সেন্টিমেন্টে। সেও ১৮ বছর আগে। বর্তমান মেয়র আইভী নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। অনেক আগেই চুনকা সেন্টিমেন্টের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়েছে। তাছাড়া চুনকা ভাইয়ের ওয়ারিশ রয়েছে তারাও এই সেন্টিমেন্টের হকদার। এবারে যদি মেয়র আইভী আরেক সদস্যের জন্য কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন চেয়ে আনতেন, ভালো হতো। কিন্তু আইভী তার নিজের ইমেজ এতটাই বৃদ্ধি করেছেন যে অন্য ওয়ারিশরা একরকম হারিয়ে গেছে। আমি আশা করেছিলাম অন্য কেউ মেয়র নির্বাচন এলে আইভী অন্তত পাঁচ বৎসর রাজনীতি করার সুযোগ পেতেন। পাঁচ বছর রাজনীতি করে আবার যদি তিনি মেয়র হতেন সারাবছর সারা জীবন মেয়র থাকলেও কারো কিছু বলার ছিল না।
এসব আমার ব্যক্তিগত মতামত এর সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই। ডঃ কামাল হোসেন আরো বলেন, এবং চুনকা ভাইয়ের শেষ নির্বাচনে সেনাপতি ছিলাম। ছিলাম নাজমা রহমানের নির্বাচনের সেনাপতি। এসব যৌবনকালের খবর। উল্লেখ্য, ছাত্র লীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা কামাল মৃধা প্রায় ২১ বছর আগে অভিমানে আওয়ামী লীগ থেকে সরে যান। এক সময়ে তিনি শহর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাঁর বিয়েতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসেছিলেন। সব শেষ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য পদ পান।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।