নিজস্ব সংবাদদাতা
বিকেএমইএ এর সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ শাব্বির আলম খন্দকারের ১৯তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রæয়ারি) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় দিনটিকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষণার দাবি জানানো হয়। শহীদ শাব্বির আলম খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশ নীট ম্যানুফ্যাক্চারাস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস এর পরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি। শাহাদাৎবার্ষিকী স্মরণে ও শহীদ শাব্বিরের খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার দাবিতে দিনটি পালিত হয় নারায়ণগঞ্জে।র্যালি পূর্ব সমাবেশে অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এড.তৈমূর আলম খন্দাকার, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন কালু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.আজাদ বিশ্বাস, আইনজীবী নেতা এড.আব্দুল হামিদ ভাসানী, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ওলামা দলের সভাপতি শামসুর রহমান খান বেনু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিএনপি নেতা হিরন, দিপু চৌধুরী, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, জয়নাল আবেদীন, আবুল কালাম আজাদ, মনোয়ার হোসেন শোখন, মামুন, যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, আমির হোসেন, জুয়েল প্রধান, জুুয়েল রানা, রানা মজিব, সরকার মুজিব, শওকত খন্দকার, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, বিল্লাল, জামাল প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এড. তৈমূর আলম খন্দাকার বলেন, আমার ভাইকে কোন ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। শুধুমাত্র সমাজসেবায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই আইন-শৃঙ্খলার মিটিংয়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের নাম উল্লেখ করে এবং তারা কে কত টাকা পায় এসব বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজও আমার ভাইয়ের হত্যা বিচার পাইনি। শুধুমাত্র টাকার কাছে হেরে গেছি। হত্যাকারীরা টাকা দিয়ে ত্রæটিপূর্ণ চার্জশীট করিয়েছে। তাই আজও বিচার পাইনি। খুনিরা আবারো ঢাকায় ফিরে আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে। দিনটিকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষণার দাবি জানাই। বক্তারা বলেন, আজ যেই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারসহ দেশবাসী কথা বলছে, সেই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শহীদ শাব্বির আলম খন্দকার নব্বইয়ের দশক থেকেই সোচ্চার ছিলেন। তিনি মাঠ পর্যায়ে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় মাদক এবং সন্ত্রাসের গডফাদারদের চক্ষুশুলে পরিণত হন। সমাজের ও দেশের চিন্তা করেই একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়েও অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েও তার হত্যার বিচার পায়নি তার পরিবার। বক্তারা সমাবেশ থেকে হত্যাকারীদের ফাঁসি ও নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার দাবি জানান। শোক র্যালিতে দল-মত, জাতি-র্ধম নির্বিশেষে কয়েক হাজার নারায়ণগঞ্জবাসী অংশ নেয়। শোক র্যালি নিয়ে মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে গিয়ে শহীদের কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালের ২২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস, চাঁদা ও মাদকমুক্ত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সে অনুষ্ঠিত জেলার ৩২টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় সভায় শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার “আমার জানাযায় অংশ গ্রহণ করার আহŸান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করছি” বলে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নাম, ঠিকানা ও তাদের গডফাদারদের নাম প্রকাশ করেন এবং সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা কোনঠাসা হয়ে পরলে তাদের গডফাদারদের ষড়যন্ত্রে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা প্রাতঃকালীন ভ্রমনকালে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারকে গুলি করে হত্যা করে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।