নিজস্ব সংবাদদাতা
ইজারা হওয়ার আগেই শ্রমিকলীগ নেতা কর্তৃক কোরবানীর হাট দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী, অস্থায়ী পশুর হাট স্থাপনের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর সরকারি হাট বাজার ইজারা ব্যবস্থাপনা ও পদ্ধতি সংশ্লিষ্টনীতিমালা অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে সিটি কর্পোরেশন বা উপজেলা প্রশাসন। নির্ধারিত দিনে সকলেরসামনে টেন্ডার খুলে সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাটের ইজারাদার হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে ঈদের পূর্ববর্তী ৩ দিনের জন্য পশু বিক্রির অনুমতি পাবে ইজারাদার। তবে এই পুরো নিয়ম-নীতির ব্যাত্যয় ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের ওমরপুরে হাজী জালাল উদ্দিন সাহেবের বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাটে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করা হলেও পুরো হাট প্রায় প্রস্তুত। সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠ জুড়ে সারি সারি বাশ। প্রবেশমুখেই একটি তোরণ তৈরির প্রস্তুতি চলছে। পুরো এই কাজের তদারকি করছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি কবির হোসেন। একই ভাবে গত বছরও তিনি এই হাট দখল করেছেন।
এছাড়াও দখল হয়ে গেছে সদর উপজেলার বক্তাবলী ফেরিঘাট সংলগ্ন মাঠ, সৈয়দপুরের কয়লাঘাট ও আল সাবাহ অস্থায়ী হাটের মাঠ।
ওমরপুরে হাজী জালাল উদ্দিন সাহেবের বালুর মাঠের হাটের দখলদার কবির হোসেন জানান, এখানে প্রতিবছরই হাট হয়। আমি মাঠের মালিকের কাছে অনুমতি নিয়েছি, গরুর মালিকদের কাছে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। সিটি কর্পোরেশন ইজারা দিবে, এটাও ঠিক আছে। কিন্তু আমরা এত নিয়ম মানতে পারবো না, আপনারা লেখলে লেখেন। পারলে বন্ধ করে দেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ২৩ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল আমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের ওমরপুরে হাজী জালাল উদ্দিন সাহেবের বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাটের তালিকা তৈরি করা হয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌস জানান, আমাদের এখানে হাটের জন্য মাঠের যে আবেদন এসেছে। সেগুলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি, জেলা প্রশাসন থেকে তদন্তের জন্য আমাদের এখানে পাঠিয়েছে। আমরা এগুলো তদন্তের জন্য এসিলেন্ডে পাঠিয়ে দিবো। এছাড়া আমাদের জনপ্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ অন্য বিষয় বিবেচনা করা হবে। এরপর পুরো এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে জেলা প্রশাসকের কাছে। তিনি সন্তুষ্ট হলে অনুমোদন দিবে। এরপর ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নির্ধারিত দিনে ওপেন টেন্ডার খুলে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা দেওয়া হবে। আগে থেকেই কারো নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ যদি অতি উৎসাহী হয়ে আগে থেকে হাট বসানো হয়, সে ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করে বন্ধ করে দিবো।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।