Logo
HEL [tta_listen_btn]

কক্সবাজার সদরে সামন‍্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়ক যেন নদী

কক্সবাজার সদরে সামন‍্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়ক যেন নদী

মোঃ সাহাব উদ্দিন  কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা :

আজ ১৩ ই জুলাই কক্সবাজার সদর উপজেলা গেইটে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি শুরু হয়। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে সামান্যবৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট, দোকানপাট, সড়ক-মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শহরে যাতায়াত করা যাত্রী ও জনসাধারণ। এমনকি একটু বৃষ্টি হলেই উপজেলা গেইট থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপরে হাঁটু পানি জমে যায়। তখন বুঝার উপায় থাকেনা এটা মহাসড়ক না নদী! এছাড়াও ওই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ ও জলাবদ্ধতায় সড়কটি হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপযোগী। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলাবাসী। বৃষ্টি থেমে গেলে কাদা-পানিতে ডুবে থাকা সড়ক দেখে মনে হয় মরা খাল। এতে অসাবধানতায় গর্তে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, পয়ঃনিষ্কাশনে ড্রেনের বর্জ্য রীতিমতো পরিষ্কার না করার কারণে সড়কের উপর কাদা মাটি ও পানি জমে যায়। প্রায় ২০০ মিটার এ সড়ক দীর্ঘদিনে সংস্কার হয়নি। বিভিন্ন স্থানে খোয়া উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। সেখানে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণকাজ শুরু হলেও তা শেষ না হওয়ায় পানি জমে উপচে পড়ে সড়কে। এতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ডিক্কুল, হাজী পাড়া, হার্ভার্ড কলেজ, কক্স ভিশন স্কুল, মডেল পলিটেকনিক্যাল স্কুল ও পশ্চিম হাজী পাড়ার সামনের বেশ কিছু জায়গা। অন্যদিকে আশরাফ আলীর পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। জরুরি প্রয়োজনে রোগী বহনকারী যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে এ পথে চলাচল করে। সড়কটিতে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান হলেও পানি নিষ্কাশনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। এতে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে শহরে যাতায়াতকারী যাত্রী ও জন সাধারণকে। আবার উপজেলা গেইটের কিছু অংশ নতুন রাস্তা নির্মাণ করতে খোড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মাটির স্তূপ নেমে আসায় সড়কজুড়ে কাদার ছড়াছড়ি। এ কারণে যানবাহন বা পথচারী চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসীন্দা মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা গেইটের সামনের অংশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা আরো বাড়ছে। আরিফ নামের তারেক আরমান বলেন, পুরো রাস্তায় খানাখন্দ আর পানি জমে থাকায় হেঁটে যেতে সমস্যা হয়। অনেক সময় ময়লা পানি লেগে পোশাক নষ্ট হয়ে যায়।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা পিন্টু চাকমা বলেন, রাস্তাগুলোর পানি নিষ্কাশন করতে ড্রেন নির্মাণকাজ চলমান। আর সড়ক সংস্কারেও কাজ চলছে। সড়কের কাজ শেষ হলে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/dainikde/public_html/wp-includes/functions.php on line 6031

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



Deprecated: Function WP_Query was called with an argument that is deprecated since version 3.1.0! caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/dainikde/public_html/wp-includes/functions.php on line 6031
Theme Created By Raytahost.Com