Logo
HEL [tta_listen_btn]

যে কারণে ইরানের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে সৌদি

চির বৈরী ইরানের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে সৌদি আরব। অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেঁচে থাকতে দেশটি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক অবনতি হওয়া এবং উত্তেজনা বেড়ে চলার কারণে দেশের অর্থনীতি আরও খারাপ অবস্থায় পড়বে বলে সৌদি কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য মিত্ররা কতটা পৃষ্ঠপোষকতা দেবে তা নিয়ে সৌদি কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় তারা ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পথ বেছে নেয়াকে ভালো মনে করছেন।

গত সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের সর্ববৃহৎ তেল স্থাপনা আরামকোর ওপর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার পর থেকে সৌদি সরকার ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চিন্তা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সৌদি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ১৪ সেপ্টেম্বরের হামলা ছিল ‘গেম চেঞ্জার’; আরামকো হামলার পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সেপ্টেম্বরের ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব ইরানকে দায়ী করেছিল। তবে ইরান সে অভিযোগ নাকচ করেছে।

সৌদি আরব, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওমান, কুয়েত এবং পাকিস্তানের মাধ্যমে সৌদি আরব এবং ইরানের কর্মকর্তারা সরাসরি বার্তা বিনিময় করেছেন।

সৌদি আরবের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাধ্য হয়েছে রিয়াদ। অন্যদিকে, ইরানের কর্মকর্তারাও বলেছেন, তারা সৌদি আরবের সঙ্গে উত্তেজনা চান না বরং আঞ্চলিক সব দেশের সঙ্গে ইরান ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক চায়।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ওয়ায়েজি সৌদির সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সৌদি আরবের মতো আঞ্চলিক দেশগুলো এখন একথা উপলব্ধি করেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।

সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেন ইরানি প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ।

এর আগে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে দেশ দুটিকে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সৌদি আরব এবং ইরানকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মুখোমুখি বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

এ লক্ষ্যে তেহরানও সফর করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com