অনলাইন ডেস্ক : ১৮ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস। বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দিতে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল ১০টায় পিলখানা সদর দপ্তরে আসেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় বীর-উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ১০টায় বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দিবসটি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিজিবির কর্মকর্তা ও সদস্যদের পদক প্রদান করেন।
পরে বিজিবির উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ অর্থনৈতিকভাবে যে এগিয়ে যাচ্ছে এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। আপনাদের সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস করি, জাতির পিতার হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে। আগামী দিনে এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে মর্যাদা অর্জন করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের আর ভিক্ষা চেয়ে চলতে হয় না। কিন্তু স্বাধীনতার পরপর আমাদের এই অবস্থা ছিল না। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকে আমরা এই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই এটা আমাদের ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই চাওয়া, আপনারা দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য করবেন। দেশ যদি উন্নত হয় আপনাদের পরিবার পরিজন তারাই উন্নত হবে। এ দেশের মানুষ উন্নত হবে। এ কথা সবসময় মনে রাখবেন।’
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে, সম্মানিত জাতি হিসেবে বিশ্বে আমরা আমাদের নিজস্ব একটা স্থান করে নেবো।’
এ সময় চোরাচালান, মাদকপাচার, নারী-শিশু পাচার, অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।