নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই মাস সাত দিন পরে তিনটি রুটে শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। গতকাল রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনেই নারায়ণগঞ্জ থেকে চলছে লঞ্চগুলো। তবে ঈদ পরবর্তী সময়ে যাত্রীর চাপ কম থাকায় তুলনামূলক যাত্রী অনেকটাই কম। এদিকে, সারাদেশেও দীর্ঘ দুই মাস সাত দিন পরে চালু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। লঞ্চে যাত্রীদের ভাড়া না বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ
(বিআইডব্লিউটিএ) নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল বাংলানিউজকে জানান, লঞ্চে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা হ্যান্ড
ওয়াশ ও থার্মাল স্ক্যানার চালু করেছি। এছাড়া ডিসইনফেকশন টানেল বসানোর কার্যক্রম চলছে। রোববার নারায়ণগঞ্জে তিনটি রুটে লঞ্চ চলাচল
শুরু হয়েছে। এই রুটগুলো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ থেকে মতলব-মাছুয়াখালী। সকাল
৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ২২টি লঞ্চ নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে গেছে। যাত্রী ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কম নিয়েই লঞ্চগুলো চলাচল করছে। এছাড়া ঈদ পরবর্তী সময়ে সাধারণত নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রী কম যাতায়াত করে থাকে। যে কারণে যাত্রীদের তেমন চাপও নেই। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলাচলকারী সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল ২৪ মার্চ বেলা ১২টা থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতটি রুটে ৭০টি লঞ্চ চলাচল করতো। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ রুটে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬-৭
টা পর্যন্ত ২০ মিনিট পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। এই রুটে ২৫টি লঞ্চ চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর রুটে ১৫টি, মতলব-মাছুয়াখালী রুটে
১৯টি, হোমনা-রামচন্দ্রপুর একটি, ওয়াবদা, সুরেশ্বর-নরিয়া (শরীয়তপুর) কয়েকটি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। তবে এসব রুটের মধ্যে সন্ধ্যার পরে
দুইটি রুটে লঞ্চ চলাচল করে থাকে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।