Logo
HEL [tta_listen_btn]

নব্য দস্যুদের দাপটে অস্থির মহেশখালীর ধলঘাটা, আতঙ্কে জমির মালিকরা

নব্য দস্যুদের দাপটে অস্থির মহেশখালীর ধলঘাটা, আতঙ্কে জমির মালিকরা

মোঃ সাহাব উদ্দিন কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা: দুর্ধর্ষ শিবির থেকে আগত বর্তমান আওয়ামীলীগ সমর্থিত নব্য ও দাগী সন্ত্রাসীদের বিচরণ আর প্রভাব বিস্তারের কারণে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের মহুরী ঘোনা চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে সাধারণ মানুষের প্রাণের নিরাপত্তাসহ জীবন যাপন পর্যন্ত হুমকিতে রয়েছে। নব্য বাহিনীর অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে আতঙ্কে দিন কাটছে এসব মানুষের। মহেশখালীর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরের অভিযানের পর থেকে কিছু সন্ত্রাসী এলাকায় ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আবার অনেকে দস্যুতা ছেড়ে ফিরে এসেছে স্বাভাবিক জীবনে। তবে অধিকাংশই পাশের চিংড়ি ও সাগর এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে বের হয়ে লোকালয়ে তান্ডব চালিয়ে আবার আত্মগোপনে চলে যায়। এসব সন্ত্রাসীদের জবর দখল ও চাঁদাবাজির কারণে বর্তমানে চিংড়িঘের মালিকেরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফলে উপজেলার ধলঘাটা ফাটা ঘোনার প্রকৃত জমির মালিকরা নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জমির মালিক স্থানিয় জনপ্রতিনিধি নবীর হোছাইন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ধলঘাটা দ্বীপে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ডজনখানিক নব্য সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিচরণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ধলঘাটা ফাঁটা ঘোনার জমির মালিক শাহ আলমের পুত্র খাইরুল আমিন, আবুল কাসিমের পুত্র আব্দুল হান্নান বলেন, ক্ষমতাসীনদের দলের নাম ব্যবহার করে স্থানিয় ফারুকের নেতৃত্বে একদল স্বশস্ত্র ভাড়াটিয়া দস্যু দল ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে গত ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পযন্ত উত্তর মহুরী ঘোনা অবস্থিত ফাটা ঘোনা ইজারাদারদের অর্থ না দিয়ে অবৈধ ভাবে ভোগ করে আসছিল। জানাগেছে, ফাটা ঘোনার ৩৬০ কানি জমির মধ্যে ৪০ কানি মত খাজনা পরিশোধ করলে ৩১০ খানি মত জবর দখল করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিজেদের পকেস্থ করে আসছিল উল্লেখিত লোকজন। তার ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ও অবৈধ ভাবে ফাড়া ঘোনা ভোগ দখল করতে চাইলে জমির মালিকরা খাজনার জন্য ফারুক ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর বিরুদ্ধে স্থানিয় ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে অভিযোগ করেন। ওয়ার্ড মেম্বার দখলকারীদের সাথে বৈঠক করতে চাইলে কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে চিংড়ি প্রকল্পের আশে-পাশে গত এক সপ্তাহ ধরে স্বশস্ত্র মহড়া বসিয়েছেন। অপরদিকে গত ২৪ মে জমির মালিকের পক্ষে সোহেল আসিফ মেহেদী মহেশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি আমলে নিয়ে মাতারবাড়ি ক্যাম্পের এ এসআই মোহাম্মদ খালেদকে দায়িত্ব দেন মহেশখালী থানার ওসি। দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা বসলে ফারুক গংরা আলোচনায় আসেনি। বর্তমানে জামাতপন্থী বর্তমান আওয়ামীলীগ সমর্থিত নাটের গুরু ওসমান গনির মদদে তার সহোদর ফারুক ও আনসার ধলঘাটা উত্তর মহির ঘোনার ফাড়া ঘোনায় দখলে নিতে অস্ত্রের মহড়া চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জমির মালিক আবুল কাসিমের পুত্র আব্দুল হান্নানসহ অনেকে। বর্তমানে দুই গ্রুফ মুখামুখি অবস্থান করায় বড় ধরণের সংর্ঘষের আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গেছে, ওসি উপজেলা জুড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অ্যাকশন শুরু করে। ওসির এই অ্যাকশানের ভয়ে কৌশল বদলালেও ধলঘাটার সন্ত্রাসীরা দমেনি। তারা প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে না পারলেও সুযোগ বুঝে নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে চিংড়ি মৌসুমে সাধারণ লোকজনের লবণ ঘের দখল করে লুটপাট শুরু করে। তবে পুলিশের অ্যাকশনের মুখে তারা স্থায়ী হতে পারেনি দীর্ঘদিন। মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের টু আইসি এএস আই মোহাম্মদ খালেদ বলেন, দুই পক্ষকে তলব করলে ক্যাম্পে এসেছিল। পরে তারা মিমাংসা হয়ে ঘের করবে বলে বিচার শালিস করতে হবেনা বলে চলে যায়। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ‘আমি মহেশখালীতে যোগদান করার পর কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুফ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। আর ধলঘাটা ফাটা ঘোনার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক একটি সুরাহা দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com