Logo
HEL [tta_listen_btn]

জিসা মনি ঘটনার তদন্তে পুলিশের ৩ সদস্যের কমিটি

জিসা মনি ঘটনার তদন্তে পুলিশের ৩ সদস্যের কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা:
শহরজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা স্কুল ছাত্রী জিসা মনি অপহরন মামলার তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদের এক কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি মামলার তদন্তসহ আসামিদের জবানবন্দির বিষয়ে যে ধোয়াশা তৈরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখবে। কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, এই ঘটনার তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালেহউদ্দিন আহমেদ ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা পরিদর্শক ইকবাল হোসেন। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকেও সরিয়ে নিয়ে পরিদর্শক পদবীর এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। নগরীর দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার পঞ্চম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী জিসা মনি (১৫) গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন জিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে (১৯)। ওইদিনই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই ঘটনায় দুই দিন পর গ্রেপ্তার করা হয় বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬)। গত ৯ আগস্ট পুলিশ জানায়, জিসা মনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এই ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। অথচ গত ২৩ আগস্ট দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যায় নিখোঁজ জিসা মনিকে। এ ঘটনায় চারদিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এদিকে আসামিদের স্বজনরা বলছেন, পুলিশি হেফাজতে অমানুষিক নির্যাতনের মুখে তারা ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পুলিশ এই ঘটনা সাজিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন আসামির স্বজনদের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে কয়েক হাজার টাকা নিয়েছেন বলেও রয়েছে অভিযোগ। জিসা মনির জীবিত থাকার বিষয়টি জানাজানি হলে বাদী ও আসামিপক্ষের স্বজনরা সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে থানায় এসে ভিড় করেন। গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত হন সেখানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মোস্তাফিজুর রহমান। পরে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com