এস ইসলাম, নাটোর জেলা সংবাদদাতা :
নাটোরের সিংড়া পৌরসভার ৭.৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনকে জীবনে ধারন করতে হবে। তিনি শৈশব থেকে মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে কাজ করেছেন। ফাঁসির কাষ্ঠে গিয়ে দেশ এবং জনগনকে তিনি ভুলে যাননি। সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ কে গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করছিলেন, কিন্তু হায়েনারা তা হতে দেয়নি। তিনি যদি ১০ বছর দেশ চালাতেন তাহলে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারতেন। দেশ উন্নত বাংলাদেশ হতো। কিন্তু তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। ৯ মাস বাংলাদেশকে হানাদাররা ধংস্ব করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১ দিনে ৩৬ হাজার প্রাইমারী স্কুলকে সরকারী করেছিলেন। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয় দেশকে ধংস্ব করার চক্রান্ত করেছিলো তারা। দীর্ঘ ৩৭ বছর যারা দেশকে শোষন করেছে তারা উন্নয়ন করেনি। অতিথি পাখির মত তারা এসেছে এবং জনগনকে বোকা বানিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা সিংড়াকে পৌরসভা উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছর বিএনপি নেতৃত্ব দিয়েছে, কিন্তু তারা উন্নয়ন করেনি। বিগত সাড়ে ৪ বছরে আওয়ামীলীগের সিংড়া পৌরসভর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। সিংড়া পৌরসভা সচ্ছতার সাথে পরিচালনা হচ্ছে, কোনো অনিয়ম করেনি করতে দেয়নি , দুর্নীতি মুক্ত পৌরসভা গঠন করেছেন। করোনার দু:সময়ে সে পৌরবাসির পাশে দাঁড়িয়েছে বন্যার ভিতরে বুকখানি পানিতে নেমে জনগণের পাশে থেকেছে। বঙ্গবন্ধু দেশের জনগনকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত অনুসারী যারা তারাও কর্মে জনগনের সেবক। প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, ১২ বছর আপনাদের সেবক হয়ে পাশে আছি। তিন তিনবার আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মন্ত্রী করেছেন। কিন্তু আমি পলক, পলক হিসেবেই থাকতে ভালোবাসি। পদ পদবী একদিন থাকবেনা। জনগনের ভালোবাসা আমার অর্জন। মন্ত্রী হলেও আপনাদের সাথে আমার কোনো বিভেদ তৈরি করিনি। জনগনের ভালোবাসাই আমার শক্তি, আমার সাহস। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আসলে একটি মহল অপপ্রচার করে, অপপ্রচারে কান দিবেন না। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে মসজিদে আযান বন্ধ হবে, মাথায় টুপি থাকবেনা। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মসজিদের আযান বন্ধ হয়নি, মাথায় টুপি কারো খুলতে হয়নি। আগামীতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগকে কেউ হারাতে পারবেনা, ইনশাল্লাহ। ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হামিদ এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক রকি, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ দাস কাশিনাথ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সিংড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হক বকুল এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট সাইদুর রহমান সৈকত, পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক হাসান ইমাম, গোল-ই-আফরোজ সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি শাহজাহান আলীর পুত্র সরফরাজ নেওয়াজ বাবু, প্রমূখ । এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা হক রোজি, কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈনুল হক চুনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বুলবুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি গোপাল বিহারী দাস, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া মিঠু, জেলা পরিষদ সদস্য রায়হান কবির টিটু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আন্জুমানসহ কাউনসিলরবৃন্দ এবং সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। মোনাজাত পরিচালনা করেন, পৌর ওলামালীগের সভাপতি মাওলানা ইদ্রীস আলী সুমন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।