Logo
HEL [tta_listen_btn]

অবশেষে মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে অনশন ভাঙ্গলেন ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ৭ দিন ভাত-রুটি না খেয়ে থাকা

অবশেষে মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে অনশন ভাঙ্গলেন ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ৭ দিন ভাত-রুটি না খেয়ে থাকা

এস ইসলাম, নাটোর জেলা সংবাদদাতা :

ফুটবল যাদুকর ম্যারাডোনার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনা সহ সারা বিশ্বের ফুটবল ভক্তদের মত এই নাটোরের বাগাতিপাড়ার ভক্তদের মাঝেও নেমে আসে শোকের ছায়া। সব ভক্তদের ব্যাতিক্রম ভক্ত ম্যারাডোনা প্রেমী রুহুল আমিন সরকার বাবু। আর্জেন্টাইন ফুটবলার, ফুটবলের যাদুকর দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভাত-রুটি খাওয়া বন্ধ রেখে ৭ দিনের শোক পালন করছেন তিনি। নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভার বারই পাড়া মহল্লার মৃত নিজাম উদ্দিন সরকারের ছেলে “ভাই বন্ধু মুদি দোকানী” ম্যারাডোনা প্রেমী বাবু। ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর গত বুধবার থেকে তিনি ভাত-রুটি, মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ রেখে ওই ফুটবলারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কালো ব্যাজ ধারণ করে ছিলেন। শুধু তাই নয় তার দোকানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রিয় ফুটবলারে মৃত্যুতে সাত দিনের শোক পালনের ব্যানার ও আর্জেন্টিনার পতাকা সহ কালো পতাকা উত্তোলন করে রেখেছেন। আবেগাপ্লুত হয়ে রুহুল আমিন সরকার বাবু জানান, আর্জেন্টাইন ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তার দেশের সরকার যেখানে তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছিল সেখানে তিনি সাত দিন শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেন। সেদিন থেকে তিনি ভাত-রুটি, মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ রেখেছেন। এই সাতদিন তিনি কি খেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, শুধু শুকনো খাবার খেয়েই এই সাতদিন কাটিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ম্যারাডোনার আত্মার শান্তি কামনায় মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে শোক পালনের কর্মসূচি শেষ করলেন আর্জেন্টিনা ভক্ত ম্যারাডোনা প্রেমী বাবু। স্থানীয়রা জানান, মুদি দোকানি বাবু ম্যারাডোনা ভক্ত। তিনি প্রতিটি বিশ্বকাপের সময় দোকান থেকে তার বাড়ি প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার পাশ দিয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা টানিয়ে রাখতেন। ২০০৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের সময় তিনি ৬০ ফুট দীর্ঘ একটি আর্জেন্টাইন পতাকা তৈরি করে টানিয়েছিলেন। এছাড়া আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিনে তিনি দর্শকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেন। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবু। জেলা ক্রিড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার ম্যারাডোনা প্রেমী বাবুর মুখে খাবার তুলে দিয়ে তার (বাবুর) শোকের সমাপ্তি করান। এসময় মামুন সরকার বলেন, তিনি বাবুকে সেই ১৯৮৬ সাল থেকেই ম্যারাডোনা ভক্ত হিসেবে জানেন। তার এই শোক পালনই প্রমান করে আর্জেন্টাইন এই তারকা ফুটবলারের মৃত্যুতে বাংলাদেশী ভক্তরা কতটা মর্মাহত। সুদূর আর্জেন্টিনাতে বাবুকে নিয়ে কিংবদন্তি ফুটবল যাদুকর দিয়াগো ম্যারাডোনার সমাধিতে গিয়ে তার আত্নার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান স্থানীয় অনেকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com