রূপগঞ্জসংবাদদাতা:
গ্রামের নাম‘মুজিববর্ষ ভিলেজ’। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মুড়াপাড়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন এই গ্রাম। ২০টি পরিবার নিয়ে এই গ্রাম। এই গ্রামেরবাসিন্দাদে রজীবনের বেশির ভাগ সময় তাদের কেটেছে অন্যের জায়গায়, অন্যের ঘরে। এখন প্রত্যেক পরিবারের রয়েছে ২ শতাংশ খাসজমির উপর নির্মিত সুন্দরএকটি বাড়ি। বাড়িতে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি শৌচাগার, একটি গোসলখানা, রান্নাঘর আরএকটি বারান্দা। প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার উদ্বোধনের পর শনিবার থেকে তাদের পরিচয়ে থাকবেনা ভূমিহীন-গৃহহীনপরিচয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুররহমানের জন্মশতবর্ষে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ ঘর পেলেন এই ২০ পরিবার। মুজিববর্ষ ভিলেজে বাড়ি পেয়েছেন রূপগঞ্জের বামনগাঁও এলাকার রুনা বেগম। শেষ জীবনে এসে নিজের একটি ঠিকানা পাওয়ার আনন্দে তার কণ্ঠ ছিল বাষ্পরুদ্ধ। বললেন, “খুবভাল লাগছে। এত সুন্দর বাড়ি পামু কোনদিন ভাবি নাই। দেশের মাতা শেখহাসিনা এই বাড়ি দিছে, নামাজ পইড়া সারাজীবন তেনার জন্য দোয়া করুম।”
মশারির কারিগর ইকবাল হাসান। সামান্য যা আয় করতেন তার বেশির ভাগই চলে যেত বাড়ি ভাড়ায়। এবার উপহার হিসেবে বাড়ি পাওয়ায় খেয়ে-পরেভালোভাবে চলতে পারবেন বলেতার বিশ্বাস। বাড়িউপহার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। রাজমিস্ত্রী স্বামী সারা জীবন মানুষের ঘর তৈরি করলেও খুশি বেগম দের থাকতে হয়েছে অন্যের ঘরে। উপহার হিসেবে বাড়ি পেয়ে খুশি বেগম এবার সত্যি খুশি।স্বামী হারানোর পর মেয়ের বাড়িতেই থাকতেন অশিতীপরআছিয়া বেগম। দিনমজুরএকমাত্র ছেলেও থাকে ভাড়াবাড়িতে। মেয়ের বাড়ি ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে আছিয়া বেগম এখন উঠবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে উপহার পাওয়া নিজের ঘরে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।