Logo
HEL [tta_listen_btn]

একই ইস্যুতে মহানগর বিএনপি’র পৃথক সমাবেশ

একই ইস্যুতে মহানগর বিএনপি’র পৃথক সমাবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
গতকাল বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)বিকেলে নগরীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে মহানগর বিএনপি পৃথক সমাবেশ করেছে। এর একটিতে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান। অপরটিতে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির অপর সহ-সভাপতিএড. জাকির হোসেন। একই ইস্যুতে মহানগর বিএনপির পৃথক সমাবেশ নিয়ে দর্শকদের নেতিবাচক সমালোচনা করতে দেখা গেছে। তাদের মতে, নিজেদের মধ্যে আদর্শের টানাপোড়েন থাকলে আন্দোলন কোনদিনই সফল হতে পারেনা। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে ২নং রেল দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সামনে ঘুরে ডিআইটি মসজিদের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ছোট করার জন্যে এ অবৈধ সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিলো। সেই উপাধী প্রত্যাহারের জন্যে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এ সিদ্ধান্ত স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী। দেশের মানুষের অধিকার হরণ করায় এ সরকারকে আর মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা এই ভোটারবিহিীন সরকারকে টেনে হিচরে ক্ষমতা থেকে নামাবে। এড. সাখাওয়াত বলেন, জিয়াউর রহমানের পদক নিয়ে টানাহেঁচড়া করলে একদিন আওয়ামীলীগের কারো যদি খেতাব থাকে সে খেতাবও কেড়ে নেয়া হবে। তাই শহীদ জিয়ার খেতাব কেড়ে নিয়ে অন্যের খেতাবকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। সরকারকে বলে দিতে চাই আগুনে হাত দেবেন না। শহীদ জিয়া এদেশের মানুষের অন্তরে রয়েছেন, সেখান থেকে তাকে কেউ মুছে দিতে পারবে না। তিনি বলেন, বিশ্ব মিডিয়ায় তাদের অপকর্ম প্রকাশিত হওয়ায় জনগনের মনোভাব অন্যদিকে ফেরানোর জন্যে তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করতে চাচ্ছে। সরকার জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। তাই দেশের মানুষের মন থেকে শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা মুছে ফেলার জন্যে তার খেতাব নিয়ে টালবাহানা করছে। আমরা আজকের এই সভা থেকে বলে দিতে চাই, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে অন্যথায় দেশের মানুষ রাজপথে নেমে আসবে এবং দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবে। সেই সাথে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং নকল কারবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ও মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মনির হোসেন খান, সদস্য সচিব গুলজার হোসেন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান রতন, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি মীর আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, তারেকুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা যুবদলের সম্ভাব্য আহবায়ক মহিউদ্দিন শিশির, সম্ভাব্য সদস্য সচিব শাহীন আহমেদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মুসা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি রাসেল আহমেদ, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক লিংকন খান, ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, জেলা যুবদলের সহ সম্পাদক দেলোয়ার শাহ, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আরিফ, যুবদল নেতা স¤্রাট হাসান সুজন, সজিব খন্দকার, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক লিংরাজ খান, এলকে রনি, সিদ্ধিরগঞ্জ কৃষক দলের আহবায়ক জসিমউদ্দিন, সদস্য সচিব মনির প্রধান, যুগ্ম আহবায়ক নুর আলম, সেলিম মিয়া মিঠু, আওলাদ হোসেন খান, উজ্জল হোসেন, আলমাস খান, আলাউদ্দিন, জাকির হোসেন, মাহফুজ ভুইয়া, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, শ্রমিক দল নেতা আ: মতিন ভূইয়া, আবে জমজম, মুকুল, মকবুল, জাহাঙ্গির, শেখ শহিদুল, হুমায়ুন কবীর, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলিপ, এইচএম হোসেন, সলিমুল্লাহ হৃদয়, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রাসেল প্রধান, আ: সালাম, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান দোলন, সদস্য সচিব রিয়াদ দেওয়ান, বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাকিব, যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন, রোমান প্রমূখ।
পৃথক সমাবেশ 
অপর সমাবেশেমহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. জাকির হোসেন বলেন,দেশ আজ কীভাবে চলছে সেটা প্রতিবেদন হিসেবে তুলে ধরেছে আল জাজিরা টেলিভিশন। এটা দেখে সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। ভোটারবিহীন সরকারের উপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। দেশের যে অবস্থা শেখ হাসিনা করেছে তার বিচার এই দেশের জনগণই একদিন করবে। স্বৈরাচারের পতন হবে। দেশের সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনই সরকারের পতন ঘটাতে পারবে। জিয়াউর রহমানের কর্মের ফলেই তাকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়েছিল। তার খেতাব ছিনিয়ে নিলে শেখ মুজিবুর রহমানেরও বিচার করতে হবে। আজকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা শেখ হাসিনার দলে কয়জন মুক্তিযোদ্ধা আছে? আওয়ামী লীগ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, দেশের সবজায়গা মানুষ কিন্তু করোনার অজুহাতে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ছাত্রসমাজকে ধ্বংস করে দেওয়ার পায়তারা করতেছে এই সরকার। প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হচ্ছে। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক-রাজনীতিবিদদের কারাগারে বন্দি করছে। জনতার নিকট জোর দাবি, আপনারা সর্বত্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। তা না হলে এই সরকার অন্যায়-অত্যাচার করতেই থাকবে। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার নিন্দাও জানান আব্দুস সবুর খান সেন্টু।মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, এড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, এড. রফিক আহম্মেদ, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আওলাদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা অহিদুল হক খান ছক্কু, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলুসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী। বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডবাসীর সাথে মত বিনিময় সভায় করেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ¦ দেলোয়ার হোসেন প্রধান। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া সমাজ কল্যান সমিতি কার্যালয়ে এলাকাবাসীর সাথে এ মত বিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান বলেছেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের রাজধানী হলো ঘারমোড়া। আর এই রাজধানীকে ঢেলে সাঁজাতে এখানে কি কি প্রয়োজন তা আপনাদের কাছে জেনে তা আমি আমাদের এমপি মহদয়ের কাছে জানাব। এ ওয়ার্ডের অধিকাশ লোকজন একটি হাই স্কুল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা এমন কি খেলার মাঠ কথা জানিয়েছেন আমি আপনাদের এই কথা গুলো এমপি মহাদয়ের কাছে জানাব। বিশ^নবী ইসলামিয়া মাদ্রাসার গর্ভনিং বডি সভাপতি ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার সরদার মোহাম্মদ আবু তালেবের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি নেতা নূর নবী ওসমানী, সমাজ সেবক হাজী নাজিম উদ্দিন, সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন জসু, হাজী আশেক মাহামুদ, আলকাস মাদবর, বন্দর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম. সুমন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব, আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল হোসেন, নূর ইসলাম, বাঘা শরিফ, জাতীয় পার্টি নেতা মোঃ সেলিম, ফজর আলী, ওয়াসিম, প্রমুখ। মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সবুজ বাংলা যুব সংঘের সভাপতি হুমায়ন কবির এলিন, সাধারন সম্পাদক রোমান, সহ-সভাপতি মোঃ ফারুকসহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com