Logo
HEL [tta_listen_btn]

পৌর শহীদ মিনার নাম করণের কারণ কি? ভিপি বাদল

পৌর শহীদ মিনার নাম করণের কারণ কি? ভিপি বাদল

নিজস্ব সংবাদদাতা:
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কেমন করে পৌর শহীদ মিনার হয়ে গেলো, জানতে চাই। তিনি বলেন, এ কথাটি না বললে অপরাধ হবে, আজকে আমার মনে পড়ে, এটা নার্সারী ভবন ছিলো। জোহা ভাইয়ের নেতৃত্বে, খানপুরের শফী চাচার নেতৃত্বে, সাইফুদ্দিন চাচার নেতৃত্বে, শামীম ওসমান, জিএম ফারুকের তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে ইট দিয়ে এই শহীদ মিনার বানানো হয়। এটা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।’ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীর জিয়া হল প্রাঙ্গনে প্রয়াত জননেতা একেএম শামসুজ্জোহার জন্য দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি প্রশ্ন করেন, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কিভাবে কেন্দ্রীয় পৌর শহীদ মিনার হয়? কোন সাহসে সিটি করপোরেশন এ কথাটি বলেন। এর জবাব কি আপনারা দিতে পারবেন? এ কথাটুকু সংশোধনের প্রয়োজন আছে কি নাই? তিনি প্রয়াত জননেতা সম্পর্কে বলেন, শামসুজ্জোহা সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। বার বার মনে পড়ে, খানপুর হাসপাতালে আপনার পাশে থেকেছি। আমার মনে পড়ে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে আপনার পাশে থেকে দোয়া নেওয়ার চেষ্টা করেছি। একদিন দুপুর ১১টার দিকে আমি জোহা ভাইয়ের দিকে তাকালাম, তারপর যখন শামীমের দিকে তাকালাম তখন দেখি তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝড়ছে। আমার আর বুঝার বাকি রইলো না যে প্রাণপ্রিয় নেতা আমাদের মাঝে আর নেই। ‘আমি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের ১৪ দফা দিয়েছিলাম, এই বাদল হেলাল পরিষদ। আমাদের দাবি ছিলো একটা বড় জায়গায় পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার করা। আমাদের জোহা চাচা বেঁচে থাকবে চির অম্লান হয়ে। অনুষ্ঠানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদের আহ্বায়ক এইচ এম রাসেলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল হোসেন, জেলা আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন,মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, জেলা হকার্সলীগের সভাপতি রহিম মুন্সি, ব্যাংক কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল কাদির প্রমুখ।
চন্দনশীল যা বললেন
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ হলো আওয়ামী লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি। নারায়ণগঞ্জে দৃশ্যমান যত উন্নয়ন সব উন্নয়নের রূপকার হলো ওসমান পরিবার। নারায়ণগঞ্জে অনেক বাঘা বাঘা নেতা আছেন কিন্তু ৭৫ এ কাউকে রাস্তায় নামতে দেখি নাই। নাম বললে চাকরি থাকবে না। অনেককে খন্দকার মোশতাকদের সমর্থন করে মিষ্টি বিলাতে দেখেছি।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে নগরীর জিয়া হলে একেএম শামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭১ সালে আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা ছিলো। জনপ্রিয়তা ছিলো অনেক। আপনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন না। ৭৫ এ আপনি অনেক বড় ও দায়িত্বশীল নেতা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জোহা সাহেবসহ নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা জেলে গেলো। আপনি বসে বসে নারায়ণগঞ্জের বাতাস লাগিয়ে ঘুরলেন। আপনার নেতৃত্ব নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন করে যাবোই এবং উত্তর ও আদায় করবো। তাদের বংশধর যখন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের কান্ডারী শামীম ওসমানকে নিয়ে উল্টো পাল্টা কথা বলে তখন আমি অবাক হয়ে যাই। চন্দন শীল বলেন, খন্দকার মোশতাকের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আওয়ামী লীগের ভিতরে অনুপ্রবেশকারী যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন, কোন আন্দোলন বা লড়াই সংগ্রামে দেখি নাই। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে আওয়ামী লীগের ক্রিম খাচ্ছেন, মাখন খাচ্ছেন তারা এজেন্সি হিসেবে কাজ করছেন আমাদের প্রিয় নেতা ও আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর। আজে বাজে কথা বলছেন। এখানে দাঁড়িয়ে আমি আর বেশি কথা বলতে চাই না। আর নাম তো উচ্চারণই করতে চাই না। শুধু হুঁশিয়ার করে দিতে চাই থামেন। আপনার রূপ চিহ্নিত হয়ে গেছে। আর আগাবেন না, গায়ে কাপড় থাকবে না। সাধারণ মানুষেরটা খেয়েছেন। আজ হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি ছাড়ছেন না। মসজিদ, মাদরাসা খেয়ে ফেলতে চাচ্ছেন। সত্যি কথা বললে হুমকি দিচ্ছেন। সত্যি কথা বলার কারণে খোকন সাহার নামে মামলা দিয়েছেন। সাজনু, হেলাল এদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ হয়ে আপনি আওয়ামী লীগের নামে মামলা দিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুরে বেড়াবেন সেটা আমরা বরদাশদ করবো না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com