নিজস্ব সংবাদদাতা :
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছি, বাকীজীবনও করবো। ছাত্র জীবনে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে রাজনীতিতে আসার সময় তার সাক্ষাত পেয়েছিলাম। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, আনোয়ার মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করো, তাদের পাশে থাকো। মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছি করে যাচ্ছি। মানুষের অন্যায় অপরাধ অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমি সব সময় রুখে দাড়িয়েছি। আপস করি নাই, কাপুরুষের মত পালিয়ে যাইনি। অপরাধ, অন্যয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে, এতে আমি নিগৃহীত হয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর নগরীর বাবুরাইল জামে মসজিদের ৩য় তলা লাল ফিতা কেটে উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তৃতীয় তলাটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদে আধুনিক মিম্মরটি সকলের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। তিনি বলেন, আমার শিক্ষা জীবনে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা পাঠ গ্রহণ করেছি। সে দেওভোগ মাদ্রাসাকে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছি। আমি ইতিমধ্যে দেওভোগ ডায়াবেটিক সেন্টার ফিজিও থেরাপী ও কিডনী যন্ত্র ক্রয়ে ৮০ লাখ ব্যয়ে টেন্ডার সম্পূর্ণ করেছি। নাগ মহাশয়ে নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এই এলাকার মানুষ যখন কোন কাজ নিয়ে যায়, তখন আমি দুর্বল হয়ে পড়ি। কারণ এই এলাকা থেকে আমি জনপ্রতিনিধি হয়েছি। মানুষের মধ্যে আল্লাহ রহমত পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের রাজনীতিতে শেষে আমি যখন এনসিসি মেয়র নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী অনেক বিচক্ষণ। তখন তিনি আমাকে এনসিসি মেয়রের বদলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোয়ন দেন। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন আনোয়ারকে দিয়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকা নয় পুরো জেলা জুড়ে উন্নয়নের কাজ করাতে হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে আড়াইহাজার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে উন্নয়ন কাজ করেছি। বৃদ্ধাশ্রম ১ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে, ইতিমধ্যে টেন্ডার শেষ হয়েছে কাজ শুরু হবে। আড়াইহাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে, পাঠাগারের দ্বিতীয় তলা কাজ সম্পূর্ণ করার পথে। রূপগঞ্জে আড়াই কোটি ব্যয়ে ডাকবাংলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সোনারগাঁয়ে যুতবশু পাঠাগারে দেয়াল ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে। ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজের টেন্ডার হবে। কুতুবপুরে জালকুড়িতে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। আনোয়ার বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে করতে ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। জেলা পরিষদ যে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তা অনেকে জানতেন না। আমি দায়িত্ব নেয়া পর দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছি। এই বাবুরাইল মসজিদে তৃতীয় তলা কাজের উদ্বোধন করতে পেরে আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। কারণ মহান আল্লাহ আমার দায়িত্ব থাকা অবস্থায় এই মসজিদের তৃতীয় তলা সুন্দরভাবে নির্মাণ করতে সুযোগ দিয়েছে। শুধু মসজিদ করলেও হবে না, মুসল্লী এই মসজিদে ভরপুর থাকতে হবে। কারণ এই তৃতীয় তলা যদি শতাধিক মুসল্লী দোয়া করে তাহলে আমি মরে গেলেও আল্লাহ দরবারে আমার জন্য দোয়া পৌঁছাবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি সালেহ মুহাম্মদ মুসা, সাধারণ সম্পাদক নিসার উদ্দিন কামাল, মুসলেহ উদ্দিনরহমান, মোঃ রিপন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুজ্জামান সোহেল, কার্যকরি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাবেক ছাত্রনেতা সেলিম হাসান দিনার, মোশাররফ হোসেন জনি, রাশেদুজ্জামান রিমন, হিরা ও সেন্টু প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।