Logo
HEL [tta_listen_btn]

গণমাধ্যমকে এড. তৈমূর আলম আ’লীগ আচরণবিধি মানছে না

গণমাধ্যমকে এড. তৈমূর আলম আ’লীগ আচরণবিধি মানছে না

নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (এনসিসি) নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, সরকারি দল আচরণবিধি মানছে না। আজকে আমি দেখলাম গেট করা হয়েছে। তবে আচরনবিধিতে সড়কের ওপর গেইট করার কোন নিয়ম নেই। নির্দিষ্ট ভাবে বলা আছে কতটুকু বিলবোর্ড হবে। অনেক জায়গাতেই মাপের বাইরে বিলবোর্ড তৈরি করা হয়েছে। এগুলো মানতে হবে।
রোববার (২ জানুয়ারি) নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। আইভীর অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৈমূর বলেন, তিনি অনেক কিছুই বলতে পারেন। আপনাকে পুরো রেকর্ডিংটা শুনতে হবে যে, কোথায় আমি ধর্মটা ব্যবহার করেছি। আমি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আমিতো আমার ধর্মের কথা বলবই। আমি আমার ধর্মে বিশ্বাস করি। সকল ধর্মের মানুষকে আমি সম্মান করি। নাস্তিকদের সম্মান করিনা। নাস্তিকতায় আমি বিশ্বাস করিনা। আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী এবং যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী তারা যে ধর্মেরই হোক, আমি তাদের সম্মান করি। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমার প্রার্থীতা জনগনের চাহিদার ওপর। খেটে খাওয়া মানুষের চাহিদার ওপর। তাদের জন্য জীবনভর আমি সংগ্রাম করে এসেছি। আজকে খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি মেরে তাদের শহর থেকে বিদায় করা হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে না। নাগরিক সুবিধা নগরবাসী পাচ্ছে না। হোল্ডিং ট্যাক্স চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। জন্মনিবন্ধন করতে মানুষকে হয়রানি হতে হচ্ছে। ট্যাক্সের বোঝা বহনের জন্য তো জনগন সিটি কর্পোরেশন চায়নি। ‘আমিই সিটি কর্পোরেশনের প্রথম প্রস্তাবকারী। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে আমি সিটি কর্পোরেশনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি। হেল্ডিং ট্যাক্সের অভিযোগ সত্য কিনা তা জানাবে এই শহরের জনগন। যারা হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়।’ জানিয়ে তৈমূর আলম আরও বলেন, এখানে বাধা দেয়ার কেউ নেই। নারায়ণগঞ্জ আমার উঠান, আমার বাড়ি। নারায়ণগঞ্জের মাটির সাথে আমার রক্তের সাথে সম্পর্ক। এ শহরের প্রতি ক্ষেত্রে আমার ভূমিকা রয়েছে। আমি সন্ত্রাসীদের গুলি খেয়েছি। রাজপথে পুলিশের মার খেয়েছি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে। দলের সমর্থন প্রসঙ্গে তৈমুর বলেন, আমার আশেপাশে যারা আছে তারা সবাই দলের নেতাকর্মী। দলের নেতাকর্মীরা বাঁচতে চায়। তারা মামলায় জর্জরিত। অনেকের ব্যবসা নিয়ে গেছে, অনেকের বাড়ি নিয়ে গেছে তারা। সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির কোন ঠিকাদার কাজ করতে পারে না। সিটি কর্পোরেশন আমাদের হাতে থাকলে নারায়ণগঞ্জ বেঁচে যাবে। দলের নেতাকর্মীদের মনের আকুতিটা বুঝতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com