Logo
HEL [tta_listen_btn]

হোলি উৎসব পালিত

হোলি উৎসব পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব। এ উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’ ও ‘দোল পূর্ণিমা’ নামে পরিচিত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জে এ উৎসব ঘিরে মন্দিরে পূজা, হোমযজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুক্রবার (১৮ মার্চ) শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে প্রতিভা সংজ্ঘ সংগঠনের উদ্যোগে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়। তবে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শবে-ই-বরাত একই দিনে থাকায় হোলি উৎসবের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে মন্দিরে পূজা, যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণ দিয়ে শুরু করে দোল উৎসবের প্রাথমিক সূচনা। শিশু কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে প্রবীনরাও আবির দিয়ে রং খেলায় মেতে উঠেছে হলি উৎসবে। স্বামী সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে, দূর দুরান্ত থেকে হলি উৎসব উদযাপন করতে দেখা গেছে মধ্য বয়সী নারীদের। তবে উৎসবকে ঘিরে তরুণ-তরুণী ও কিশোর কিশোরীদের উপস্থিতি ছিলো বেশী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই থেকে দোল উৎসবের প্রচলন। এ কারণেই দোলযাত্রার দিন সকালে রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহে আবির-গুলাল মেখে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরাও মাতেন আবির ও গুলাল খেলায়। ফাল্গুনের এ পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম। ফলে এ দিনটিকে গৌর পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এদিন সকাল থেকেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হন। দোল পূর্ণিমায় শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দ্বাপর যুগে পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে আবির।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com