নিজস্ব সংবাদদাতা
রমহত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। মাহে রমজানের প্রথম শুক্রবার (৮ এপ্রিল) ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা জুম্মার নামাজ আদায় করতে শহরের বিভিন্ন মসজিদে ছিল মুসুল্লিদের উপচে পড়া ভীড়। আল্লাহর বান্দাদের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মাসে সওয়াবের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুম’আ। শহরের প্রত্যেকটি মসজিদে ১২টার অনেক আগে থেকেই মুসল্লিদের সমাগম হতে থাকে। মিম্বরে খতিব সাহেব আসার পূর্বে মসজিদের অনেকাংশ ভরে যায়। খুতবা শুরু হতে কিছুটা সময় বাকি বলে নফল ইবাদাতে মগ্ন হয় মুসুল্লিরা। এদিকে, প্রথম জুম’আ বলে খতিব সাহেবও নিয়েছেন পূর্ণ প্রস্তুতি, উদ্দেশ্য-ফজীলতপূর্ণ এ মাসে কীভাবে মুসুল্লিরা অধিক সওয়াব লাভ করবে, কীভাবেই বা পেতে পারে আল্লাহর নৈকট্য সে বিষয়ে বয়ান করতে হবে। তাই সচরাচর সময়ের চাইতে এদিনে খুতবা অনেকটা দীর্ঘ হয়। জামাত শুরু হতেও কিছুটা বিলম্ব হয়। অন্যদিকে, খুতবা শুরু হতে না হতেই মসজিদ কানায় কানায় ভর্তি। প্রথম তলা, দ্বিতীয় তলা এমনকি ছাদে সামিয়ানার নিচেও মুসুল্লিরা ঠাই পায় না। আর জায়গা নেই বলে মসজিদের সিঁড়ি, উঠুনে কাতারবদ্ধ হওয়া শুরু হয়। খুতবার শেষ পর্যন্ত কাতার আসে ফুটপাথে। জামাত বাধার সময় প্রধান সড়কও ভরে যায়। জামাতবদ্ধ হয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধাবদ্ধ হয়ে জামাত আদায় হয়। এরপর হাত উঠিয়ে লম্বা মোনাজাত ধরে মুসুল্লিরা। পিছনের সকল গুনাহ মাফ, অধিক সওয়াবের তওফিক, জান্নাতের আশা, আত্মীয়-স্বজনদের মঙ্গল-কামনা, দেশ ও সমাজের উন্নতি নিয়ে করা হয় দোয়া।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।