Logo
HEL [tta_listen_btn]

না’গঞ্জে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু

না’গঞ্জে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা
চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই ধারাবাহীকতায়, প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। চলছে বর্তমান এমপি-মন্ত্রীদের মাঠপর্যায়ের জরিপ। সেই জরিপের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচনে দেয়া হবে মনোনয়ন। এক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারে মন্ত্রীরাও। এমনকি এবারের নির্বাচনে প্রায় শতাধিক নতুন মুখ আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সেই সকল অভিযোগও পর্যালোচনা করা হবে মনোনয়নের ক্ষেত্রে। এবারের নির্বাচনে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীন ও নারীদেরও অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৩টিতে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছে। আছেন একজন মন্ত্রীও। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে শামীম ওসমান। সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সরাসরি কোন প্রতিদ্ব›দ্বী নেই। তাই বলা যায়, চতুর্থ বারের মতো এই আসন থেকে মনোনয়ন পেতে তাকে খুব একটা বেগ পেতে হবেনা। তবে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড দ্বারা পরিচালিত জরিপের তথ্য ভিন্ন হতে পারে। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ-১ ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বর্তমান এমপিদের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন নেতা ওই আসনে মনোনয়নের জন্য আগ্রহী। সরাসরি মুখ না খুললেও অনেকেই ভেতরে ভেতরে চালিয়ে যাচ্ছেন চেষ্টা। পাশাপাশি আসন ধরে রাখতে বর্তমান জনপ্রতিনিধিরাও নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে তুলে ধরছেন নিজেদের। অনেকে আবার চাইছেন ভোটও। জানা গেছে, রূপগঞ্জে আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যর পাশাপাশি আরও ডজনখানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলো, রংধনু গ্রæপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, রুপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, মুশফিকুর রহমান রিপন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনছার আলী, জুয়েল মাস্টারসহ অনেকে। অপর দিকে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বর্তমান এমপি শামীম ওসমান ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা প্রমুখ। এদিকে, সরকারি বেসরকারি ও বিদেশি সংস্থাদের মাধ্যমে জরিপ করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে. ক. (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি বলেন, প্রার্থী নির্বাচনে মাঠপর্যায়ের জরিপ করা হচ্ছে। একটা হলো আমাদের সরকারি সংস্থার মাধ্যমে জরিপ। আরেকটা হচ্ছে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে। কোন কোন জায়গায় বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে জরিপ করা হচ্ছে। প্রতিবারই কিন্তু আওয়ামী লীগের ৩ ভাগের ১ ভাগ মনোনয়ন থেকে বাদ যায়। কারণ তারা দলের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে পারেনি। এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরাও বাদ পড়তে পারে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।মুহাম্মদ ফারুক খান আরও বলেছেন, নেত্রী বলেছেন যে অনেকর বিরুদ্ধে অভিযোগ কিন্তু তার কাছে আছে। সে ধরণের অভিযোগ থাকলে আপনাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না। আমরা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেও কিন্তু নবীন-প্রবীণদের সমন্বয়ে করি। এক্ষেত্রেও সে রকমই হবে এবং পাশাপাশি নারীদেরও অগ্রাধীকার দেয়া হবে। অন্যদিকে, মনোনয়নের ক্ষেত্রে নতুন অনেক মুখ আসতে পারে ইঙ্গিত করে গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, যারা জনবচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যারা জনগণের কাছে এই দীর্ঘ ৪ বা সাড়ে ৪ বছর যায় নাই বা মানুষ তাদের সুখ-দুখে তাদের সাথে পায়নি বলে যে অভিযোগ আছে তাতে তো নিশ্চই বলা যাবে মনোনয়ণের ক্ষেত্রে নেত্রী ঠিকই বিবেচনা করবেন। এক্ষেত্রে নতুনরাও আসতে পারে আবার পরিপক্ক রাজনীতিবীদরাও আসতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com