Logo
HEL [tta_listen_btn]

নগরীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি

সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও গত কয়েকদিন ধরে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। কয়েকদিন ধরে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন ৫০-৭০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) এ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মাসের এই কয়েকদিনে হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত মাসে যার পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম।
শিশু প্রমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার মা বলেন, কালকে রাত থেকে হঠাৎ মেয়ের বমি শুরু হয়। কিছু খেতে পারে না। চোখ বন্ধ হয়ে আসে। মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তাই আজ সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ডাক্তার বলেছে ডায়রিয়া হয়েছে।
শহরের পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনও তার সন্তানকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, সকাল থেকেই বাচ্চাটির ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সঙ্গে বমিও করছে। এজন্য তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
হাসপাতালে ভর্তি শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা শুরু হয়ে যায়। পরে তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি। এখন একটু ভালোর দিকে যাচ্ছে।
জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ শিউলি বেগম বলেন, আমাদের এখানে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৭০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। রোগীদের কলেরা স্যালাইন দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত স্যালাইন পুশ করার পর রোগীদের আর কোনো সমস্যা থাকে না। গরমের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। এটা পানিবাহিত রোগ। পানির কারণেই রোগটা বেড়ে যায়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন বিপুল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরও একেবারে কম বলা যাবে না। কারণ গরম এখনো কমেনি। গরমটা স্থায়ী হলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সবাইকে পানি পান করার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান বলেন, হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নানা সমস্যা হতে পারে। তবে আমার এখনো এখনো সেই অর্থে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পায়নি। তবে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com