বন্দরে নদী পথে তেল চুরির সাথে পাল্লা দিয়ে মহাসড়কেও বেড়েছে তেল চুরির মহোৎসব। বন্দরের মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ১০/১২ টি তেলের দোকান। যাদের নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স বা টিন সার্টিফিকেট। পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে গাড়ি থেকে তেল নামানোর কাজ। স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কারণ তাদের মাথার উপর রয়েছে বড় ভাইদের হাত আবার প্রশাসনিক সার্পোট। মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের কল্যান্দী, কদমতলী, তালতলা, দাসেরগাঁও, ইস্পাহানী, গুকুলদাশের বাগ এলাকায় কয়েকটি তেলের দোকান রয়েছে। তাদের দেখে গড়ে উঠছে আরো অবৈধ চোরাই তেলের দোকান। তেল চোরদের সিন্ডিকেটের মূলহোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে প্রশাসনিক বা অন্য কোন সমস্যা হলে তার সলিশন করে। এমনকি বিভিন্ন কোম্পানীর গাড়ি চালকদের সাথেও রয়েছে গভীর সর্ম্পক। মহাসড়কে একের পর এক অবৈধভাবে গড়ে উঠা তেলের দোকান নিয়ে শংকিত সচেতন মহল। নদী পথের মত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থল পথে যেকোন সময় ঘটতে পারে সাংঘর্ষিক ঘটনা।
সূত্র মতে, বন্দরে অবৈধ জ্বালানি তেলের ব্যবসা জমে উঠেছে। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই প্রকাশ্যে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকশ’ অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান বসিয়ে অর্থলোভী ব্যক্তিরা ব্যবসা করছে। প্রশাসন সবকিছু জেনেও রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকা পালন করছে। সচেতন মহলের ধারণা, অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের ফলে পরিবেশ দূষণসহ বন্দরের বেশির ভাগ অগ্নিকান্ডের কারণ এই জ্বালানি তেলেন দোকান। পেট্রোলিয়াম এ্যক্ট, ১৯৩৪ ও তদধীন প্রণীত বিধিমালার শর্তাবলী অনুসারে কোন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠাকালের অনুমোদিত নকশাবিহীন এবং বিস্ফোরক লাইসেন্সবিহীন অনুমোদিত স্থানে বা আবাসিক এলাকায় জ্বালানি তেলের ডিপো বা দোকান স্থাপন করা যাবে না। পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবসার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পূর্ণ অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক। অথচ বন্দরে মুদির দোকানসহ বিভিন্ন দোকানগুলোতে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে দেদারছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর বাসস্ট্যান্ড, ফরাজিকান্দা বাসস্ট্যান্ড, মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, কলান্দী বাসস্ট্যান্ড, দাশেরগাঁও বাসস্ট্যান্ড, লক্ষণখোলা বাসস্ট্যান্ড, ধামগড় ইস্পাহানী বাজার, কুড়িপাড়া, ফুলহর, মদনপুরসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে অস্থায়ী ও অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি তেল। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি দোকানে দেখা যায়, ভুয়া অনুমোদনের ডিলার ও এজেন্টের স্টিকার যুক্ত সাইনবোর্ড লাগিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে। অবৈধ দোকানগুলোতে তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও ঝুঁকিপূর্ণ। মালবাহী ট্রাক, কন্টেইনার, প্রাইভেটকার, নসিমন ও বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের কাছে এই তেলের বেশ কদর রয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ তেলের দোকানগুলোর বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসীর।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।