Logo
HEL [tta_listen_btn]

জমে উঠছে বন্দর উপজেলা নির্বাচন

৮ মে অনুষ্ঠিতব্য বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র বাছাই পর্ব শেষে ১১ জন প্রার্থীদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকেই বন্দরে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।
বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ৫ জন। এর মধ্যে ৩ জন প্রার্থীকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছে বন্দরবাসী। এরা হলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও মুছাপুর ইউনিয়নের সদ্য পদত্যাগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। ফেব্রুয়ারি থেকেই নির্বাচনী মাঠে তারা কাজ করে আসছিলেন। প্রার্থীতা বৈধ্য হওয়ার পর থেকে তারা আরও সরব হয়ে উঠেছেন। মাঠে-ঘাটে, পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করে বেরাচ্ছেন তারা। তাই এবার উৎসবমুখর পরিবেশে বন্দর উপজেলা নির্বাচন হবে বলে আশা করছে ভোটাররা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্দরে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীদের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন জমে উঠছে। সেই সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদের কাছেও এটি হবে নতুন চ্যালেঞ্জ। তাকে চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে লড়াই করে ভোটারদের কাছে টানতে হবে। এমএ রশিদের বিপরীতে চ্যালেঞ্জার হিসেবে রয়েছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের দু’বারের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল এবং মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। আতাউর রহমান মুকুল বন্দর উপজেলায় দুই কার্যকাল যাবৎ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই হিসেবে বন্দরে তার বেশ সুনাম রয়েছে এবং জনসাধারণের মাঝে তার বেশ প্রভাব রয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল এমএ রশিদকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন। ফোন আলাপে মুকুল বলেন, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আমি রশিদ ভাইকে দেখি। উনি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, সেই সাথে আওয়ামী লীগের একজন সুনামখ্যাত নেতা। তাই নির্বাচনী মাঠে তার সাথেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন হবে। তবে আমি এটাও বিশ্বাস করি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে আমি জয়ী হবো। জনগণ আমার সাথে আছে। জয়ের পথে আমি এগিয়ে আছি।
জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে নেই মাকসুদ হোসেনও। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এ চেয়ারম্যান অনুসারীদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। হেভিওয়েট প্রার্থী প্রসঙ্গে কথা হলে মাকসুদ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান পদে যারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন তাদের সবাইকেই আমি হেভিওয়েট হিসেবে বিবেচনা করি। সবার সাথেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচন করতে হবে। আমি আমার মতো করে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি। আল্লাহ চাইলে আমি এ নির্বাচনে জয়ী হবো।
এদিকে, নির্বাচনী মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকার পরও অটল রয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ রশিদ। ফোন আলাপে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে যারা আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের সকলকেই সমান চোখে দেখছি। সকলের সাথেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমার জয়লাভ করতে হবে। আর এজন্য পাশে আছেন আমার জনগণ। জনগণের জন্য আমি দীর্ঘ সময় কাজ করেছি, আর এজন্য আমি জনগণের ভালোবাসা পেয়েছি।
বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হেভিওয়েট প্রার্থীদের উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে তুলেছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে, কে ভোটে জয়লাভ করবেন তা ফুটে উঠেবে ভোটের দিন এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com