Logo
HEL [tta_listen_btn]

ফতুল্লায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

ফতুল্লা থানার কুতুবপুর-পাগলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। মাদকের এমন সহজলভ্যতার কারণে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া কিশোর-তরুণরা আশঙ্কাজনকভাবে মাদকের দিকে ঝুঁকছে। কোন প্রকার গোপনীয়তা অবলম্বন না করেই প্রকাশ্যে গাঁজা থেকে শুরু করে বিদেশী মদ, বাংলা মদ, ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিলসহ নানা রকম মাদক কেনাবেচা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সীমান্ত এলাকা থেকে এসব মাদক সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করে মাদক কারবারিরা। প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি অভিভাবক মহলের।
জানা গেছে, ফতুল্লায় একপ্রকার প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে মাদক। যুবকদের পাশাপাশি মাদকের আগ্রাসন গ্রাস করেছে স্কুল-কলেজগামী তরুণদেরও। শখের বসে মাদক গ্রহণ করে পরবর্তী সময় মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে তারা। বিভিন্ন রকমের জন্মদিনের উৎসব, ধর্মীয় উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে রাতভর গোপন আস্তানায় জলসা বসায় এসব স্কুল-কলেজের ছাত্ররা। অভিজাত পরিবারের অনেক সন্তান এ মাদকের নেশায় ভয়াবহ রকম আসক্ত।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ভৌগলিক অবস্থান যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুবিধাজনক দিক শ্রমঘন এলাকা সব মিলিয়ে কুতুবপুরকে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। ফলে কুতুবপুরে মাদকের ব্যবহার অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কুতুবপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, আকনপট্টি, নয়ামাটি, শরীফবাগ, আমতলা, শাহী বাজার, বউ বাজার, চিতাশাল, মুন্সিবাগ, বাদামতলা, শহীদনগর, আদর্শ নগর, নুরবাগ, কুসুমবাগ, খালপাড়, দেলপাড়া, রেললাইন বটতলা, শাহিবাজার, নন্দলালপুর, ভূঁইগড়, মাহমুদপুর, রঘুনাথপুর, আলীগঞ্জ রেলাইন, সমিল গলি, তুষারধারা, পাগলা জেলে পাড়া, পপুলার স্টুডিও, মুসলিমপাড়াসহ কুতুবপুরের প্রতিটি এলাকায় মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন অলিগলিতে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, বিদেশী মদ, চোলাই মদ অবাধে বিক্রি হয়।
পাগলা বাজারের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, মাদকের সহজলভ্যতায় এখানে অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে কিংবা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। প্রতিটি এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রি হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সন্ধ্যা হলেই অলি-গলিতে পরিত্যক্ত বিল্ডিং ও মাঠে মাদক সেবনের আসর বসায় স্কুল-কলেজগামী ছাত্র এবং উঠতি যুবকেরা। এসব আসরে তারা গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন ও ফেনসিডিল সেবন করে বলে জানা যায়। সংরক্ষিত এলাকায় গণহারে মাদকসেবীদের আড্ডায় প্রশাসনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদকসেবীর বাবা বলেন, তার ছেলে নেশাগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে পরিবারে সব সুখ নষ্ট হয়ে গেছে। শত চেষ্টা করেও তাকে নেশার জগৎ থেকে ফেরানো যায়নি। পুলিশ ছিঁচকে মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করলেও মাদক নির্মূল করা কখনো সম্ভাব নয়। যাদের আশ্রয়ে এসব মাদক বিক্রি হয় তাদের গ্রেফতার করলে মাদক নির্মূল সম্ভব।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, মাদকের আধিপত্য রোধে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর। প্রতিদিনই গ্রেফতার করা হচ্ছে কোন না কোন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কাউকে ছাড় দিবেনা বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com