নিজস্ব সংবাদদাতা
কোভিড-১৯ মহামারির সময় সারা বাংলাদেশে সংক্রমণের দিক দিয়ে ‘এপিসেন্টার’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ। সংক্রমণের ৭ বছর পর আবারও নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনায় সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা সকলকে স্বস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিচ্ছেন। তবে এখনো নারায়ণগঞ্জে করোনার টেস্ট কিট এসে পৌছায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। করোনার ধাক্কা সামলাতে কতটুকু প্রস্তুত নারায়ণগঞ্জ সে নিয়ে প্রশ্ন জনমনে।
বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে করোনা এই নতুন ভেরিয়েন্ট মোকাবেলায় নারায়গঞ্জের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয় সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমানের সাথে।
নারায়ণগঞ্জের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের করোনার জন্য যতগুলো প্রস্তুতি রাখা দরকার ছিল সবগুলো করে রেখেছি। আমাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে বিশেষ বেডের ব্যবস্থাও করা আছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় দুই থেকে তিনটি আইসোলেটেড বেডের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে রাখা হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার নার্সদের ইতিমধ্যে মাস্ক পড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
করোনার টেষ্ট কিট খুব তাড়াতাড়ি এসে পড়বে বলে আশা ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে আগের করোনার জন্য যে ঔষধগুলো ছিল সেগুলা ডেট এক্সপার হয়ে গেছে। নতুন করে করনার কিট আনতে একটু সময় লাগছে। তবে গতবারের মতো রেপিড আকার পরীক্ষা এবার করবো না। আমরা যাদের মনে করবো পরীক্ষা করা দরকার শুধু তাদেরই টেস্ট করানো হবে। আর এছাড়া ঢাকায় করোনার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল আছে। আমরা কোন করোনা সংক্রমিত রোগী পেলে তাকে ঢাকায় রেফারড করবো। বাকি পরিক্ষা ও চিকিৎসাগুলো চলছে তবে শুধু করোনার টেস্ট কিট এখনো আসেনি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এসে যাবে। ’
করোনায় না.গঞ্জের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড ১৯ এর সময় নারায়ণগঞ্জ সব থেকে বেশি আক্রান্ত থাকলেও, এবার সেই তুলনায় নারায়ণগঞ্জ সংক্রমণের সংখ্যা এখনো কম। এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের করোনা পজেটিভ কাউকে পাওয়া যায়নি।’
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।