নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা ২টি পৌরসভা ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই উপজেলার মানুষ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক লোক পাওয়ার লুমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আছেন বিপুল সংখ্যক রিকশা, অটো ও সিএনজি চালকও। স্থানীয় অনেক টেক্সটাইল মিলই বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্মরত শ্রমিকরা এখন বেকার। চালকরা রাস্তায় বের হয়ে পাচ্ছেন যাত্রী। পুরো উপজেলায় কর্মযজ্ঞ যেন থমকে গেছে।
সবার চোখে মুখে অজানা এক আতঙ্ক। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রার্দুভাবে থেমে গেছে অনেকের উপার্জনের চাকা। এতে কষ্টে কাটছে অনেকের সংসার। তার পরও অনেক চালকই জীবনের ঝুঁকি আছে যেনেও অনেকেই জীবিকা তাগিদে বাহন নিয়ে বের হচ্ছেন। অপরদিকে আজ রোববার ও গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিরতণ করা শুরু হয়েছে খাদ্য সামগ্রী। প্রাথমিক পর্যায়ে খাদ্যসামগ্রী দেড় হাজার লোকের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সচেতনামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। জনসমাগম ঠেকাতে রাস্তায় টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী সদস্যসহ স্থানীয় আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষা করছিলেন ১০ থেকে ১৫ জন সিএনজি ও রিকশা চালক। তবে যাত্রীর দেখা মিলছে না। এতে তাদের দৈনিন্দন আয়ের পথ থমকে গেছে। প্রতিটি গলিতিতেই জনশূন্য। এক নিস্তব্ধ নিরবতা। লোক সমাগম ঠেকাতে এই এলাকায় প্রতিদিনই কয়েক দফায় আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন। স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় ছিটানো হচ্ছে জীবাণু নাশক ম্প্রে। বিতরণ করা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী। অপরদিকে আজ রোববার ও গত শনিবার গভীর রাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মহীন ও অসহায় দেড় হাজার লোকের মাঝে চাল, ডাল, আলু, লবনসহ বিভিন্ন নিত্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দুইটি পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নে মানুষের বাড়িতে গিয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। ইউএনও সোহাগ হোসেন জানান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রলালয়ের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চালসহ আলু, লবন ও ডাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পর্যাক্রমে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।