সোলায়মান হাসান:-
নারায়ণগঞ্জে জেলায় লকডাউন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতা তো দূরে থাক, করোনাও এখানে তুচ্ছ। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এখান থেকেই করোনাভাইরাস সামাজিক বা গুচ্ছ সংক্রমণ ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান পাইকারি সবজির বাজারে এভাবেই মিলিত হচ্ছেন কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ। সংক্রমণের শতভাগ সম্ভাবনা নিয়ে চলমান এ বাজারটির এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির প্রতি বিন্দুমাত্র দৃষ্টি নেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের। নিজেদের অধীনে পরিচালিত এ বাজার নিয়ে ‘এখনও ভাবছেন’ বলে জানিয়েছে খোদ নাসিক কর্তৃপক্ষ। সোমবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সরেজমিন বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো জেলায় করোনার ভয়াবহ প্রকোপ দেখা দিলেও প্রতিদিন এ পাইকারি ও খুচরা সবজি বাজারে আসছেন কমপক্ষে ১ থেকে দেড় হাজার মানুষ। সামাজিক দূরত্ব তো দূরে থাক স্বাভাবিক দূরত্বে হাঁটাই যেন দুষ্কর এখানে। ভয়ের বিষয়, অধিকাংশ খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক বা হাতে গ্লাভস থাকে না।
নারায়ণগঞ্জের সকল উপজেলার সবজি বাজার গুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও জনগণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাজারে আসছে কিনা, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল উপজেলার ইউনিয়নের, গ্রামের ভিতরের দোকান গুলোতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি বাড়াতে হবে। বাজারের গুলো দোকান বিকেলে বন্ধ থাকাতে, গ্রামের ভিতরের দোকান গুলোতে জনসংযোগ বেশি হয়। স্থানিয় এলাকার নেতাদের আড্ডা দেওয়াতে দেখা যায়। সকল উপজেলার সবজি বাজার গুলোতে ও গ্রামের ভিতরের দোকান গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি বাড়াতে হবে। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে, করোনা পরিস্থিতি অবনতির হবে।