Logo
HEL [tta_listen_btn]

দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎকারীর ক্ষমা নেই শামীম ওসমান

দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎকারীর ক্ষমা নেই শামীম ওসমান

নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎকারীকে আইনের আওয়াতায় আনতে হবে। তাদেরকে কোন ভাবেই ক্ষমা করা যাবে না। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে যখন পূজার বিসর্জন হচ্ছে, আমি দেখেছি শত শত কালো ব্যানার, সেই ব্যানারে লেখা আছে দেবোত্তর সম্পত্তি ফিরিয়ে দাও। কোনো এক জনের নামে। আমাদের দলেও হাইব্রীড আছে, অপশক্তি আছে। দলে খন্দকার মোস্তাক থাকতেই পারে, না থাকার কোনো কারণ নাই। তিনি বলেন, আমি মনে করি থাকার সম্ভনা বেশি, কম না। আমার মনে হয়, কেউ যদি দল বিরোধী কথা বলে, কেউ যদি দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ করে, কেউ যদি নেত্রীকে নিয়ে কথা বলে। কেউ যদি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে আতাঁত করে, সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে, ব্যবস্থা তরিৎ গতিতে নেয়া উচিৎ। এটা ক্যান্সারের মতো, একজন করলে আর একজনও করবে। রোববার (১৭ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে শামীম ওসমান এ কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, আমার বন্ধু চন্দন, তার দু’পা ২০০১ সালের ১৬ই জুন বোমা হামলায় হারিয়ে গেছে। দেশের ক্লান্তিলগ্নে সে তাঁর কথা চিন্তা না করে কর্মীদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে এবং তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে জার্মানিতে সিটিজেনশীপ দেয়া হয়েছিলো। চন্দন সেটা ফেলে রেখে চলে এসেছে। আমি এটাকে মনে করি ত্যাগী নেতা। আর হাইব্রীড কারা, তা এখন বলবো না। সম্প্রতি সময়ের ঘটনা গুলো নিয়ে শামীম ওসমান আরও বলেন, ইসলাম ধর্মে বলা আছে, সকল ধর্মকে সম্মান করতে, কিন্তু তা হলে এই কাজ টা করল কে? আমি মনে করি, এইটা কোন মানুষের কাজ না। এইটা মূলত ইবলিশ এর কাজ, ইবলিশ সব ধর্মেই আছে। আমি আমার আব্বার কাছে শুনেছি, ছোটাবেলা যে এই বাংলাদেশকে বারবার বিভক্ত করা হয়েছে। ১৯৭১ এর পূর্বে বিহারী এরং ইসলাম ধর্ম দিয়ে, কিছু দিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যামকে বলেছেন যে, ২০০১ সালে দেশ বিক্রি করে ক্ষমতা আসিনি আর দেশ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসবোও না। এই দেশের ভিতরে যা কিছু হবে, তা বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র হবেই। তিনি আরও বলেন, এর পিছনে তারাই দায়ি, যারা ২০১৩-১৪ তে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এর মধ্যে একটা গ্রæপ আমার মনে হয় ইন্টারন্যাশনাল, ওই শক্তির ফাঁদে পা দিয়েছে, যে বলছে, তোমরা ক্ষমতায় আসতে চাইলে এই রোডে আগাও এবং এই রোডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করো। বাংলাদেশে এই সব ঘটনা গুলোর সাথে জড়িত আছে একটি আন্তর্জাতিক চক্র, যার ফাঁদে পা দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। তিনি বলেন, বিএনপি কিছু করে ফেলবে, আমি এইটা আশা করি না। কারণ আমি মনে করি এই দলটি শুধু আমাদের জন্য নিষ্ঠুর না, এই দলটি তার নিজের দলের নেতৃত্ব প্রতি চরম নিষ্ঠুর। মেডাম খালেদা জিয়া হাসপালে ভর্তি আছেন, খুবই খারাপ অবস্থা, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম তারা বলছেন, সেখানে নেত্রীকে দেখতে গেছে। ফটোসেশন যারা করছে, তারা সকলেই হাসছেন। হাসতে হাসতে সবাই ছবি তোলছে, তো যারা নিজের দলের নেত্রীর প্রতি এতো নিষ্ঠুর, যার কথা দিয়ে উনারা চলছেন, যার ভরসায় উনারা মানুষের কাছে যায়, তার প্রতি এমন নিষ্ঠুর তারা, এই দেশের জনগনের জন্য যে নিষ্ঠুর হবে না, এই ব্যাপারে আমি আমার কথা না বলাই ভালো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টা যিনি চালাচ্ছে তিনি হলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনা। জাতির পিতা আর তার কন্যার সাথে একটা ডিফারেন্স আছে। সেই ডিফারেন্স টা হলো জাতির পিতা সবাইকে বিশ্বাস করেছিলেন এবং সবাইকে কাছে টেনে নিয়ে ছিলেন। জাতির পিতা জানতেন তাকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু উনি বিশ্বাস করেন নাই। আর জাতির পিতার কন্যা বিশ্বাস ঘাতকদের চিহ্নিত করে রেখেছেন। যতক্ষন পযর্ন্ত আল্লাহ তার হায়াৎ দিয়ে রেখেছেন, ততক্ষন আপনারা দেশের এই ভবিষ্যৎকে মারতে পারবেন না, হ্যা, পারবে কিছু খোঁচা মারতে, পারবেন বোম মারতে পারবেন, শামীম ওসমানকে মারতে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com