বন্দর সংবাদদাতা
মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে শহরের গনবিদ্যা নিকেতনের ১০ শ্রেণীর ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক গনধর্ষনের ঘটনায় পুলিশ লম্পট মোমিনসহ তার ২ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ৪ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে বন্দর থানার চিতাশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পূর্বে গত ৩ জুন (বুধবার) সন্ধ্যায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে এ গনধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার ২ বন্ধুর নাম উল্লেখ করে এবং অপর ২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২(৬)২০। ধারা- ৯(৩) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের চিতাশাল এলাকার মনির মিয়ার ছেলে মোমিন (২১) একই এলাকার জাকির হাসান মিয়ার ছেলে রনী হাসান (২৪) ও একই এলাকার মৃত বশির মিয়ার ছেলে আমিন (২২)। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ী ইনর্চাজ তসলিম উদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ৫ জুন (শুক্রবার) সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে। জানা গেছে, শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপিঠ গনবিদ্যা নিকেতনের ১০ শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে বন্দর চিতাশাল এলাকার মনির মিয়ার ছেলে মোমিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ জুন বুধবার সন্ধ্যায় মোমিন তার প্রেমিকা স্কুলছাত্রীকে দেখা করার জন্য মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। পরে লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার দুই বন্ধু ওই দিন রাতে উল্লেখিত স্কুলছাত্রীকে বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে উল্লেখিত ধৃত ৩ নরপশুসহ ৫ জন গনধর্ষন করে রাতে স্কুলছাত্রীকে ছেরে দেয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম গনধর্ষনের ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে গনমাধ্যমকে জানান, ধর্ষনকারি ৫ জনের মধ্যে মূলহোতা লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার ২ বন্ধুকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে এবং বাকি দুই জনকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।