Logo
HEL [tta_listen_btn]

না’গঞ্জের খানপুর হাসপাতালে দ্রুত আইসিইউ ইউনিট চালুর দাবি জানিয়েছেন করোনা-দুর্যোগ উত্তরণ সমন্বয় কমিটি

না’গঞ্জের খানপুর হাসপাতালে দ্রুত আইসিইউ ইউনিট চালুর দাবি জানিয়েছেন করোনা-দুর্যোগ উত্তরণ সমন্বয় কমিটি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
করোনা-দুর্যোগ উত্তরণ সমন্বয় কমিটির আহবায়ক রফিউর রাব্বি শুক্রবার (১৯ জুন) এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা শতক অতিক্রম করেছে। তিনি বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন, শুরু থেকেই এখানে করোনা রোগের চিকিৎসা নিয়ে কর্তৃপক্ষের নিদারুণ অবহেলা ও উদাসীনতা। গত ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জ থেকে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা ভয়াবহ রূপলাভ করে। স্বাস্থ অধিদপ্তর খুব কম সময়ের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জকে ঝুকিপ্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জকে লকডাউন করা হয়। ১৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখানে খানপুরের ৩শ’ শয্যার হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য ১শ’ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ১০ শয্যার নিবির পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) করে বিশেষায়িত হাসপাতাল করার ঘোষণা দেয়। প্রধানমন্ত্রী নিজে ৮ এপ্রিল এক ভিডিও কনফারেন্সে এখানে দ্রুত আইসিইউ ইউনিট চালু করার নির্দেশ দেন। অথচ ইতিমেধ্যে দুই মাসেরও অধিক সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত এখানে আইসিইউ ইউনিটটি চালু করা হয়নি। অন্যদিকে ১শ’ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডের ঘোষণা দিলেও গড়ে ৫০% শয্যার বেশী রোগী এখানে ভর্তী করা হচ্ছে না। রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ হাসপাতালে প্রতিদিন ২৭০ জনের করোনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা থাকলেও ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের বেশী পরীক্ষা তারা করেননা। এখানে বেসরকারি সাজেদা হাসপাতাল দ্রুতই ৪ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু করতে পারলেও সরকারি হাসপাতালে দুই মাসেও চালু করতে না পারা প্রমাণ করে, সরকার স্বাস্থ্য খাতকে কোন পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে এবং কতটা গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে পেছনে ফেলে দেশ এগিয়ে যাবে ভাবা, এক ধরনের কুপমÐুকতা। এখন নারায়ণগঞ্জে করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত তিনদিন ধরে কিট সংকটের কারণে পরীক্ষাই পুরোপুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অথচ এ পর্যন্ত ২১৪৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় জেলায় ৪৪৯০ জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। যা আক্রান্তের সংখ্যায় শতকরা হিসেবে ২০ শতাংশেরও বেশী। আক্রান্তের হার বিবেচনায় প্রতিদিন জেলায় যেখানে নূন্যতম ১০০০ পরীক্ষার প্রয়োজন, সেখানে এই হাসপাতালে পরীক্ষাই পুরোপুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এখানে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সমন্বয়হীনতাই এই অব্যবস্থাপনার প্রধানতম কারণ। প্রশাসন থেকে লকডাউন ঘোষণা করে তিন দিনের মাথায় আবার তা প্রত্যাহার করে নেয়া এই সমন্বয়হীনতারই প্রমাণ। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের দায়িত্বে থেকে এমনি অবহেলা মানুষের জীবনকে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এখানে এমনি অব্যবস্থার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাও সমান ভাবে দায়ি। করোনার এমনি সংকটকালে এখানে যে নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন ছিল তা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি অতিদ্রুত এ অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে তোলার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানান। একই সাথে দ্রুত আইসিইউ ইউনিট চালু, হাসপাতালের সক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার ও কিট সংকট সমাধান করে প্রতিদিন নূন্যতম ১০০০ নমুনা পরীক্ষা নিশ্চিত করারও দাবি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com