অনন্যা জাহান :
সোমবার বিকেলে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের চাঁন সরদার দাদার বাড়ির ভিতর তার ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের শোয়ার ঘরের খাটের নিচ থেকে অস্ত্র, ইয়াবা, মদ, বিয়ার, ওয়াকিটকি ও বিপুল পরিমান ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযানে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট, র্যাব-৩ ও ১০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ছিলেন। ইরফান ও তার দেহরক্ষীর কাছ থেকে দুটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম দণন মামলায় তাদের দজনকে এক বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন। গত রোববার রাতে কলাবাগান এলাকায় ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়েছে, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।