Logo
HEL [tta_listen_btn]

প্রতিটি স্কুলে হেলথ কেয়ারহবে -জেলা প্রশাসক

প্রতিটি স্কুলে হেলথ কেয়ারহবে -জেলা প্রশাসক

নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য হেলথ কেয়ার তৈরি করা হবে। তিনি বলেন শারীরিক অসুস্থতার জন্য মাসে ৪ দিন স্কুলে যেতে পারে না মেয়েরা। যা বছরে গিয়ে দাঁড়ায় ৪৮ দিনে। এ কারণেই নারায়ণগঞ্জের যেখানে থাকবে সেনেটাইজার থাকবে, হ্যান্ডওয়াশ ও পুস্তিকা। যাতে মেয়েরা একটি ভালো ওয়াশরুমে গিয়ে তাদের পেড টা চেঞ্জ করতে পারবে। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় কালে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ এই পরিকল্পনার কথা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৭০-৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে। অথচ, নারায়ণগঞ্জে একটি অটিজম স্কুল নেই। আমি নারায়ণগঞ্জে অটিজম স্কুল করতে চাই। নারায়ণগঞ্জে প্রস্তাবিত ৩০০ ফিট চওরা রাস্তায় একটি ফ্লাইওভার করতে চাচ্ছি। এটা সম্ভব হলে আমাদের নারায়ণগঞ্জের যানজট অনেকটা কমে যাবে। আমি নারায়ণগঞ্জের সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা যদি সবাই একসাথে কাজ না করি, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছে, তা বাস্তবায়ন করতে অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।  জেলা প্রশাসক বলেন, নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে আমরা একগুচ্ছ স্বপ্ন দেখতে চাই এবং বাস্তবে যতগুলো সম্ভব সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস অনেক বেশি সমৃদ্ধ। নারায়ণগঞ্জে যারা কাজ করে তারা ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড’। এখানে জনপ্রতিনিধি, ইউএনও, ওসি যারা আছেন সবাই ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড’। এবং সেজন্যই তারা নারায়ণগঞ্জে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের সোনারগাঁ, পানাম নগর, জিন্দা পীরের মাজার এইগুলো কিন্তু আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য। সেই জায়গাগুলোকে তুলে ধরার জন্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে আমরা একটি আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছি। যেখানে সারা পৃথিবী থেকে নারায়ণগঞ্জের যেকোনো ছবি দিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। সেখান থেকে শ্রেষ্ঠ ২শ’ ছবি নিয়ে আমরা একটি টুরিস্ট এ্যালবাম করতে চাই। যাতে করে নারায়ণগঞ্জের ইকো টুরিজমট এবং নারায়ণগঞ্জের সমৃদ্ধ ইতিহাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আমার অর্জন শূন্য। তবে আমরা যাত্রা শুরু করেছি এবং সেটি ইতিবাচকভাবে শুরু করতে চাই। যেখান থেকে একটি ইতিবাচক এবং স্বপ্নময় নারায়ণগঞ্জ গড়ে উঠবে। আমরা এই দুটি শব্দ দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু করেছি। আমি এখানে কাজ করতে চাই। এখানে কাজ করতে এসেছি আমি। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন এবং আমিও আপনাদের সহযোগিতা করবো। আমরা প্রশাসন পরিবার, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিডিয়া কর্মী সবাই মিলে যেন ভালো একটি টিম গঠন করতে পারি, সেই প্রত্যাশা আমি রাখছি। সব মিলিয়ে আমরা একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই সেক্ষেত্রে সদর উপজেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান বিন মোহাম্মদ আলী, সিদ্ধিরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান, ফতুল্লার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজামান, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com