Logo
HEL [tta_listen_btn]

রোজা সামনে রেখে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য

রোজা সামনে রেখে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য

নিজস্ব সংবাদদাতা:
সামনেই পবিত্র রমজান মাস আর এ মাসকে পূঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য মজুদ করতে শুরু করেছেন বলে আলামত পাওয়া যাচ্ছে। এখনি বাজার মনিটরিং করা না গেলে রমজানে দ্রব্যমূল্যের অবস্থা আয়ত্বের বাইরে চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। নারায়ণগঞ্জে তেল ও চিনির দাম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। কাঁচা বাজারসহ মাছ ও মাংসের বাজারও অস্থির। গরুর মাংসের দামের কাছাকাছি পৌঁছেছে দেশি মুরগির দাম। ক্রেতারা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে অস্থির কাঁচা বাজার। আর বিক্রেতারা বলছেন, আমদানির উপর ভিত্তি করেই দাম কম-বেশির বিষয় জড়িত। এতে ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জের প্রধাণ ভোগ্য পণ্যের বাজার দ্বিগু বাবু বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। বাজারের মদি সদাইয়ের পাইকারী বিক্রেতা লোকমান হোসেন বলেন, এ বছরই ভোজ্য তেলের দাম সর্বোচ্চ। এর আগে তেলের দাম এতো বেশি কখনই হয়নি। তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেল ১৩২ টাকা লিটার। এছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার ১২৪-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল হলেও ব্যবসায় এখন লোকসান হচ্ছে। রমজানে বাজারে নতুন চাল আসলে দাম আরও কমবে। তবে, চালের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল আছে। তিনি বলেন, প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৬০-৬২ টাকা, আঠাশ ৫২ -৫৩, ঊনত্রিশ চাল ৫২-৫৪, ঊণচল্লিশ ৫০-৫১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এ বাজজারের আরেক ব্যবসায়ী হারিস মিয়া বলেন, কেউ কেউ এক-দুই টাকা কেজিতে বেশি বিক্রি করছেন। ইরি মোটা চাল ৪৪-৪৬, স্বর্ণা ৪৬-৪৭ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহে চালের দাম বাড়েনি বলেও দাবি করেন তিনি। বাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বলেন, ঢেঁড়স, পটল, শিম, সাজনা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০, পটল ৬০, বেগুন ৩৫-৪০, চিচিঙ্গা ৫০, করলা ৪০, লতা ৭০, শিম ৪০, টমেটো ১৫, দেশি কুমড়া ৪০-৪৫, দেশি লাউ প্রতি পিস ২৫-৩০, ছোট আলু ২০, বড় আলু ১৮, ছোট বেগুন ৪০, বরবটি ৮০, শসা ৪০ ও গাঁজর ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের সুরুজ আলী বলেন, কাচা মরিচ ৫০, হাসের ডিম ৪০, ফার্মের মুরগির ডিম ৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৫০, রসুন বড় ৬০, রসুন ছোট ১২০, শুকনা মরিচ ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসকলাইয়ের ডাল ৯০, দেশি মুসুর টাকা ১১০ হাইব্রিড মসুর ডাল ৭০, খেসারি ৯০, মটর ৪৫, চিনি ৮০, ছোলা ৭০, মুগডাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চিনি এ বছর সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। আসন্ন রোজা উপলক্ষে ছোলা বুট প্রতি কেজি ৬৩ টাকা থেকে ২ টাকা বেড়ে এখন ৬৫ টাকা, খোঁলা আটা কেজি প্রতি ৩০-৩২ টাকা। ময়দা কেজি প্রতি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই বাজারের মুড়ির ব্যবসায়ী তপন কুমার বলেন, গত তিন-চার মাস ধরে মুড়ি ৬১-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এদিকে নি¤মানের খেজুর কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। মাঝারি মানের খেজুর ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে। আর ভালো মানের খেজুর কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগির দাম দৌড়াচ্ছে গরুর দিকে। দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গরুর মাংসের দাম ৬০০ টাকা। দামে পার্থক্য ১০০-১৫০ টাকা। খাসির মাংস ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা, কক ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিকালে বাজারে দেখা যায়, মিরর কার্প, রুই, কারফু (মাঝারি) ১৬০-১৭০ টাকা, বড় কারফিও ২৫০-২৬০, ছোট সিলভার কার্প ৮০, টেংরা ৩২০-৩৫০, শিং ৪০০-৪২০, তেলাপিয়া (মাঝারি) ১২০, কাতল (বড়) ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় গলদা চিংড়ির দাম ৪০ টাকা বাড়িয়ে ৫৬০ টাকা। তবে, প্রতি কেজি ইলিশ এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com