Logo
HEL [tta_listen_btn]

শিমরাইলে ফুটপাত বসানোর নামে চাঁদাবাজি!

সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ কতৃপক্ষ। কিছুদিন না যেতেই অবৈধ ফুটপাত পুনরায় বসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজ চক্র ও মার্কেট মালিকরা। এসব অবৈধ ফুটপাত বসানোর কথা বলে হকার ও দোকানদারদের নিকট হতে দোকান প্রতি এককালীন ১০ হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ উঠেছে। সেই হিসেবে ৫শ’ দোকান থেকে ৫০ লাখ টাকার চাঁদা তুলছে চাঁদাবাজ চক্র। এসব চাঁদাবাজির সাথে জড়িত হিসেবে জনৈক মাসুদ নামের এক ব্যক্তিসহ কয়েকজন মার্কেট মালিকের নাম শুনা যায়।
চাঁদাবাজ চক্রটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব-১১ এর নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায় করছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। দীর্ঘদিন যাবত এনসিসি ১নং ওয়ার্ডের চিটাগাংরোড ফুটপাত থেকে প্রকাশ্যে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি করলেও থানা পুলিশ ও র‌্যাব রহস্যজনক কারনে মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশিত হলে লোক দেখানো দু’একজনকে গ্রেফতার করলেও মূল হোতারা রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফুটপাত চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে নিতে চাঁদাবাজদের মাঝে বিভিন্ন সময়ে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। দ্রুত এইসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আংশকা রয়েছে।
সচেতন মহলের দাবি, পুলিশকে ম্যানেজ করে অবৈধ ফুটপাত বসানো হয়। প্রতিদিন চাঁদাবাজির একটি অংশ পুলিশ পায়। যতদিন পুলিশ ভালো হবে না, ততদিন অপরাধ নির্মূল সম্ভব হবে না। চাঁদাবাজদের পাশাপাশি অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবসস্থা নেয়ার জোর দাবি জানায় তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ফুটপাত দোকানী বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে একাকালীন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দোকান প্রতি নিয়েছে। ফুটপাতে ব্যবসা করে আমরা আমাদের সংসার চালাই। তাই বাধ্য হয়ে চাঁদাবাজদের দাবিকৃত এককালীন টাকা ও প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে চাঁদার টাকা দিতে হয়। চাঁদার টাকা দিতে দেরী হলেই আমাদের উপর চাঁদাবাজরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এসব চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মহোদয় এবং র‌্যাব-১১ এর অধিনায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে সে যেই হোক আমরা তাকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com