মোঃ সাহাব উদ্দিন কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা: কালারমারছড়া বন কর্মীদের অভিযানে – ৮ টি মার্দার টি উদ্ধার, বাধাঁ দিতে গিয়ে স্থানিয় এলাকাবাসি আহত শাহরিয়া বাবু, মহেশখালী (কক্সবাজার) চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জের মহেশখালী বন রেঞ্জের আওতাধীন কালারমারছড়া পাহাড়ে বন বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে ৪৪ পয়েন্ট ৮৭ ঘনফুট ৮ টি ছোট-বড় মার্দার টি গর্জন গাছ উদ্ধার করেছে। আজ সোমবার সকাল ১০ টার সময় কালারমারছড়া পূর্ব মিজ্জির পাড়া পাহাড়তলী এলাকা থেকে গাছ গুলি টুকড়া টুকড়া উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা মত হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করেছেন বনকর্মীরা। জানাগেছে, উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জির পাড়া পূর্ব পাহাড়তলী এলাকায় সরকারের সৃজিত বাগান থেকে বনদস্যুরা গত ৩১ মে রবিবার গাছ গুলি পাহাড় থেকে কর্তন করে পাচারের জন্য একটি স্থানে স্তুফ করছিল। বিষয়টি স্থানিয় লোকজন অবগত হলে এতে মিজ্জির পাড়া গ্রামের সামাজিক বনায়নের উপকারভোগি ছৈয়দ আহমদের পুত্র আতাউর রহমান মিশু (২৭) তার সহোদর সোয়াবুর রহমান (২৯) বিষয়টি স্থানিয় পুলিশ ফাঁড়ী ও বনকর্মীদের অবগত করলে বনদস্যু জয়নাল ও মোস্তক তাঁদের উপর চড়া হয়ে হামলা চালিয়ে আহত করে। তাক্ষনিক ওই দিন রাত ৮ টার সময় কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এস আই কিশোর বড়ুয়াসহ এএস আই সাইফুলসহ একদল পুলিশ অভিযান চালালে টের পেয়ে গাছ ফেলে বন দস্যুরা পালিয়ে যায়। পরে এ সংবাদ পেয়ে মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে দিনেশপুর বিট অফিসার কালারমারছড়া অতিরিক্ত দায়িত্ব অভিজিত কুমার বড়ুয়া, কেরুনতলী বিট অফিসার আহসানুল কবির, কালারমারছড়া ও শাপলাপুর বিটের স্টাফদের সাথে নিয়ে একদল বিট মিজ্জির পাড়া পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বনদস্যুরা পেলে যাওয়া গর্জন গাছ উদ্ধার করে। সেখান থেকে গাছ জব্দ করে কালারমারছড়া বন বিট অফিসে নিয়ে যায়। মহেশখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলতানুল আলম চৌধুরী বলেন,স্থানিয় বনদস্যুরা পাহাড়ী সৃজিত গাছ কর্তন করে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। গোপনে খবর পেয়ে গাছ জব্দ করা হয়েছে এবং তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।