Logo
HEL [tta_listen_btn]

গোদাগাড়ীতে একশত বিঘা ফসলী জমি রক্ষা করলেন-এসি ল্যাড

গোদাগাড়ী : বরেন্দ্র অঞ্চলের জনগষ্ঠি প্রায় কৃষির উপর নিরর্ভশীল। কৃষি কাজ করেই চলে তাদের জীবন যাত্রা। আর আবাদী জমি না থাকলে কি করে চলবে তাদের জীবন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলাধীন পাকড়ি ইউনিয়নের নামো বিল্লি গ্রামের বিলে প্রায় একশত বিঘা আবাদী জমি নষ্ট করে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের সময় হঠাৎ পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে উপস্থিত হলেন নির্বাহী মাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সেখানে ২টি (ইস্কেবেটর) ভেকু মেশিন দিয়ে সরকারী আদেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে তিন জনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন । এসি ল্যান্ড এর জন্য আবাদী জমি রক্ষা পাওয়ায় এলাকাবাসী খুব খুশি।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের নামো বিল্লি মাঠে ৩০ বিঘা ধানী জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করার সময় হাতেনাতে ধরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভ্রাম্যমান আদালতে এ সাজা প্রদান করে। এবং ২টি (ইস্কেবেটর) ভেকু মেশিন অকেজো করার জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল জব্দ করা হয়।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের নামো বিল্লি গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেন(৫৪), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন(২২) এবং পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার রানীনগর গ্রামের আক্কাশ মোল্লার ছেলে সিহাব হোসেন (২৩)।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পাকড়ী ইউনিয়নের নামো বিল্লি বিলের মাঠে ৩০ থেকে ৩৫ বিঘা করে ৩ টি পুকুরে মোট ১০০ বিঘা ধানী জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করছিলেন একটি চক্র। এমন সময় খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে তিনজনকে আটক করে জনসম্মুখে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভ্রাম্যমাণ আদালত বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে তাদের ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
এই গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, এসব অবৈধ পুকুর খনন করা হলে নামো বিল্লি বিলের মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে শত শত বিঘা ফসলী জমির অনাবাদী হবার আশঙ্কা রয়েছিল এবং পানি নিষ্কাশনের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে পুরো গ্রামটি পানি বন্ধি হয়ে পড়তো। পুকুর খনন বন্ধ হওয়ায় আমরা অনেক খুশি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইমরানুল হক বলেন, সরকারী নির্দেশ ছাড়া অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করে আবাদী জমি নষ্ট করার দায়ে তাদের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এরপর আর কোন দিন কেও অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করলে আরও কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে। এবং এই ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com